শ্রীপান্থ (নিখিল সরকার)
☰Fullscreen
Table of Content:
ভূমিকা: "জগতের এত বিষয়ে এত জ্ঞান খুব বেশি মানুষের আমি দেখিনি।" - পণ্ডিত, সাহিত্যিক, বিদগ্ধ ব্যক্তি নিখিল সরকার সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন কবি-সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। কলকাতার সংস্কৃতি, প্রাচীন জীবনধারা সম্পর্কে দীর্ঘদিন গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন নিখিল সরকার। বাংলা সাহিত্য জগতে 'শ্রীপান্থ' ছদ্মনামেই তিনি অধিক পরিচিত।
জন্ম ও শৈশব: ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর গ্রামে নিখিল সরকারের জন্ম হয়। শৈশবজীবন থেকেই সাহিত্যের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল।
শিক্ষাজীবন: ময়মনসিংহতেই নিখিল সরকারের শিক্ষাজীবনের সূচনা। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক হন।
কর্মজীবন: তরুণ বয়সে সাংবাদিকতা দিয়ে নিখিল সরকারের কর্মজীবনের সূচনা হয়। তিনি প্রথমেমুগান্তর পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তারপর আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে দীর্ঘ সময় ধরে চাকরি করেন। 'পুস্তক পর্যালোচনা' এবং প্রতি সোমবার 'কলকাতার কড়চা' -এই দুটি বিষয় তাঁর কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য কীর্তি।
সাহিত্যজীবন: সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়ই নিখিল সরকারের সাহিত্যপ্রতিভার বিকাশ ঘটে। আদি কলকাতার সমাজ, সংস্কৃতি, পরিবর্তনের ইতিহাস নিয়ে তিনি দীর্ঘ লেখালেখি ও গবেষণা করেন। প্রবন্ধ আকারে তাঁর লেখাগুলি বিভিন্ন ইংরেজি পত্রিকাতেও প্রকাশিত হতে থাকে। লেখালেখির প্রতি গভীর আগ্রহ এবং সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে শ্রীপান্থ বহু কবি-সাহিত্যিকের সান্নিধ্যে আসেন। তিনি বাংলায় প্রথম ধাতব হরফে ছাপা হ্যালহেডের আ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ গ্রন্থটির সম্পাদিত সংস্করণের দীর্ঘ ভূমিকা লিখেছেন। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল- আজব নগরী (প্রথম গ্রন্থ), শ্রীপান্থের কলকাতা, যখন ছাপাখানা এলো, মোহন্ত এলোকেশী সম্বাদ, কেয়াবাৎ মেয়ে, মেটিয়াবুরুজের নবাব, দেবদাসী, ঠগী, হারেম, বটতলা।
পুরস্কার: নিখিল সরকার ১৯৭৮-এআনন্দ পুরস্কার পান।
জীবনাবসান: ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে ৭৩ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যানসারে এই পন্ডিত মানুষটির জীবনাবসান ঘটে।
জন্ম ও শৈশব: ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর গ্রামে নিখিল সরকারের জন্ম হয়। শৈশবজীবন থেকেই সাহিত্যের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল।
শিক্ষাজীবন: ময়মনসিংহতেই নিখিল সরকারের শিক্ষাজীবনের সূচনা। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক হন।
কর্মজীবন: তরুণ বয়সে সাংবাদিকতা দিয়ে নিখিল সরকারের কর্মজীবনের সূচনা হয়। তিনি প্রথমেমুগান্তর পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তারপর আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে দীর্ঘ সময় ধরে চাকরি করেন। 'পুস্তক পর্যালোচনা' এবং প্রতি সোমবার 'কলকাতার কড়চা' -এই দুটি বিষয় তাঁর কর্মজীবনের উল্লেখযোগ্য কীর্তি।
সাহিত্যজীবন: সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়ই নিখিল সরকারের সাহিত্যপ্রতিভার বিকাশ ঘটে। আদি কলকাতার সমাজ, সংস্কৃতি, পরিবর্তনের ইতিহাস নিয়ে তিনি দীর্ঘ লেখালেখি ও গবেষণা করেন। প্রবন্ধ আকারে তাঁর লেখাগুলি বিভিন্ন ইংরেজি পত্রিকাতেও প্রকাশিত হতে থাকে। লেখালেখির প্রতি গভীর আগ্রহ এবং সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে শ্রীপান্থ বহু কবি-সাহিত্যিকের সান্নিধ্যে আসেন। তিনি বাংলায় প্রথম ধাতব হরফে ছাপা হ্যালহেডের আ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ গ্রন্থটির সম্পাদিত সংস্করণের দীর্ঘ ভূমিকা লিখেছেন। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল- আজব নগরী (প্রথম গ্রন্থ), শ্রীপান্থের কলকাতা, যখন ছাপাখানা এলো, মোহন্ত এলোকেশী সম্বাদ, কেয়াবাৎ মেয়ে, মেটিয়াবুরুজের নবাব, দেবদাসী, ঠগী, হারেম, বটতলা।
পুরস্কার: নিখিল সরকার ১৯৭৮-এআনন্দ পুরস্কার পান।
জীবনাবসান: ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে ৭৩ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যানসারে এই পন্ডিত মানুষটির জীবনাবসান ঘটে।