সুভাষ মুখোপাধ্যায়

Rumman Ansari   Software Engineer   2024-08-08 11:17:40   34  Share
Subject Syllabus DetailsSubject Details 2 Questions
☰ TContent
☰Fullscreen

Table of Content:

সুভাষ মুখোপাধ্যায় (১৯১৯ - ২০০৩)

সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি ও গদ্যকার। তিনি রবীন্দ্রত্তোর যুগের কবি, আধুনিক কবি। কবিতা তার প্রধান সাহিত্যক্ষেত্র হলেও ছড়া,  রিপোর্টাজ, ভ্রমণসাহিত্য, অর্থনীতিমূলক রচনা, বিদেশি গ্রন্থের অনুবাদ, কবিতা সম্পর্কিত আলোচনা, উপন্যাস, জীবনী, শিশু ও কিশোর সাহিত্য সকল প্রকার রচনাতেই তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সম্পাদনা করেছেন একাধিক গ্রন্থ এবং বহু দেশি বিদেশি কবিতা বাংলায় অনুবাদ করেছেন। কাব্যচর্চার পাশাপাশি তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

জন্ম ও পরিবার:

সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১৯১৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম ক্ষিতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, মাতা যামিনী দেবী। তাঁর ছেলেবেলা কেটেছে কলকাতায়। নিজের বাল্যকাল সম্পর্কে একটি চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, "আমার শৈশব কেটেছে রাজশাহীর নওগাঁয়।' ছেলেবেলা থেকেই পাঠ্যবইয়ের থেকে গ্রন্থাগারের বইয়ের প্রতি তার অধিক আগ্রহ ছিল।

শিক্ষাজীবন:

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় রাজশাহীর নওগাঁর মাইনর স্কুলে। তারপর তিনি ভর্তি হন কলকাতার মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে। পরবর্তীকালে তিনি ভর্তি হন সত্যভামা ইনস্টিটিউশনে। ভবানীপুরের মিত্র স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪১ সালে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স সহ বি.এ পাশ করেন। পরবর্তীকালে তিনি আশুতোষ কলেজে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন:

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় মেট্রিক পাশ করার পর। ১৯৩২-৩৩ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কিশোর ছাত্রদল-এ সক্রিয় সদস্যরূপে যোগ দেন তিনি। কবি সমর সেন তাকে হ্যান্ডবুক অব মার্কসিজম নামে একটি গ্রন্থ দেন, এটি পড়েই তিনি মার্কসীয় রাজনীতিতে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪০ সালে তিনি লেবার পার্টিতে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে লেবার পার্টি ত্যাগ করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন, ১৯৪২-এ পার্টির সদস্য হন। এইসময় সদ্যগঠিত ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী সংঘের সাংগঠনিক কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৪৬ সালে দৈনিক স্বাধীনতা পত্রিকায় সাংবাদিক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে বহু কমিউনিস্ট বন্দীর সঙ্গে তিনিও কারাবরণ করেন, ১৯৫০ সালে মুক্তি পান তিনি। ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ হলে তিনি পুরনো পার্টিতে থেকে যান। ১৯৬৭ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙে দেওয়া হলে আন্দোলনে যোগ দিয়ে ১৪৪ ধারা ভাঙার ফলে দ্বিতীয়বার কারাবরণ করেন। বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকা সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসে শেষজীবনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও পশ্চিমবঙ্গের নকশাল আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেননি। ১৯৮১ সালে রণকৌশল ও অন্যান্য কিছু রাজনৈতিক কারণে পার্টির সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় পার্টির সদস্যপদ ত্যাগ করেন। পরবর্তীকালে বামপন্থী রাজনীতি ত্যাগ করে তিনি দক্ষিণপন্থী রাজনীতির সংস্পর্শে যান, তারজন্য তিনি বহুবার সমালোচিত হয়েছেন।

কর্মজীবন:

কিশোর জীবন থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার ফলে তার স্থায়ী কর্মজীবন বলে কিছু ছিল না। প্রথমে তার রাজনৈতিক পার্টি নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হলে কিছুদিন তাকে কারাবন্দি থাকতে হয়, পরবর্তীকালে তিনি সাব-এডিটরের চাকরি পান। ১৯৫১ সালে সেই চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে তিনি পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।কিছুকাল তিনি সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে সন্দেশ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদকের কাজও করেছেন। ১৯৫১ সালে তিনি সুলেখিকা গীতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

সাহিত্যিক জীবন:

তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম বিশিষ্ট কবি। তাঁর শিল্পীসত্তার আত্মপ্রকাশ অত্যন্ত শিশুবয়সে। স্কুলে পড়াকালীন বিভিন্ন ম্যাগাজিনে তার লেখা প্রকাশিত হতো। কবি হয়ে উঠার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন কবি কালিদাস রায় এবং কালি ও কলম পত্রিকার সম্পাদক মুরলীকৃষ্ণ বসুর কাছ থেকে। ১৯৪০ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "পদাতিক'। সহজ সরল ভাষায় গূঢ় ব্যঞ্জনাধর্মী কবিতা রচনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর কাব্যভাষা আড়ম্বরহীন। আড়ম্বরহীন ভাষাতেই তিনি রচনা করেছিলেন চিরকুটের মতো ফ্যাসিবিরোধী কাব্য। কমিউনিজমে বিশ্বাসী কবি মানুষের শোষণ মুক্তির জন্য বহু কবিতা লিখেছেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায় আশাবাদী কবি। দুঃখ, বেদনা লাঞ্চনা ও অপরিসীম নৈরাশ্যে ভারাক্রান্ত হয়েও তিনি রাতের গভীর বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে আনা ফুটন্ত সকালের প্রত্যাশা করেছেন। তাই তাঁর কন্ঠে উচ্চারিত হয়েছে এই আশার বাণী- "ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।'

সক্রিয় রাজনীতি করার পাশাপাশি তিনি সমগ্র জীবন জুড়ে রচনা করেছেন অসংখ্য কাব্য এবং কাব্যগ্রন্থ। এছাড়াও অন্তরীপ, হ্যানসেনের অসুখ, ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন প্রভৃতি গদ্যরচনা করেছেন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস রচনার পাশাপাশি তিনি অনেক অনুবাদের কাজ করেছেন। তিনি অনুবাদ করেছেন চর্যাপদ, পাবলো নেরুদা এবং হাফিজের কবিতা, অমরুশতক ইত্যাদি। তাঁর লেখায় বারবার ফিরে ফিরে এসেছে বঞ্চিত বৈষম্য লাঞ্চিত মানুষের দুর্দশার কথা। ১৯৪৮ সালে নিজের পার্টির দৈনিকে টাকা তোলার জন্য তিনি রচনা করেছিলেন মাত্র পাঁচটি কবিতার সংকলন "অগ্নিকোণ'। এই রচনা সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন: "রাজনীতিকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতির জন্য অগ্নিকোণের প্রকাশ'।

দীর্ঘকাল তাঁর কবিতায় সাম্যবাদী ভাবধারা প্রকাশিত হয়েছে। বিষ্ণু দে-র মতো কুলীন বুদ্ধিজীবি সাম্যবাদী তিনি নন, আবার সমর সেনের মতো ব্যঙ্গ তীক্ষ্ণ নৈরাশ্যবাদী সাম্যবাদীও তিনি নন। আবেগ উদ্দীপনা ব্যঙ্গ বিশ্বাস সব মিশে গিয়েছিল তাঁর কবিতায়,

"প্রিয় ফুল খেলবার
দিন নয় অদ্য
ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,
চোখে নেই স্বপ্নের
সেই নীল মদ্য
কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া'
কাব্যগ্রন্থ:
১) পদাতিক (১৯৪০)
২) অগ্নিকোণ (১৯৪৮)
৩) চিরকুট (১৯৫০)
৪) ফুল ফুটুক (১৯৫৭)
৫) যত দূরেই যাই (১৯৬২)
৬) কাল মধুমাস (১৯৬৬)
৭) এই ভাই (১৯৭১)
৮) ছেলে গেছে বনে (১৯৭২)
৯) একটু পা চালিয়ে ভাই (১৯৭৯)
১০) জল সইতে (১৯৮১)
১১) চইচই চইচই (১৯৮৩)
১২) বাঘ ডেকেছিল (১৯৮৫)
১৩) যা রে কাগজের নৌকা (১৯৮৯)
১৪) ধর্মের কল (১৯৯১)
কবিতা সংকলন:
১) সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ)
২) সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৭০)
৩) সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কাব্যসংগ্রহ প্রথম খন্ড (১৩৭৯)
৪) সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কাব্যসংগ্রহ দ্বিতীয় খন্ড (১৩৮১)
৫) কবিতা সংগ্রহ প্রথম খন্ড (১৯৯২)
৬) কবিতা সংগ্রহ দ্বিতীয় খন্ড (১৯৯৩)
৭) কবিতা সংগ্রহ তৃতীয় খন্ড (১৯৯৪)
৮) কবিতা সংগ্রহ চতুর্থ খন্ড (১৯৯৪)
অনুবাদ কবিতা:
১) নাজিম হিকমতের কবিতা (১৯৫২)
২) দিন আসবে (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ নিকালো ভাপৎসারভের কবিতা)
৩) পাবলো নেরুদার কবিতাগুচ্ছ (১৩৮০ বঙ্গাব্দ)
৪) ওলঝাস সুলেমেনভ -এর রোগি ঈগল (১৯৮১)
৫) নাজিম হিকমতের আরো কবিতা (১৩৮৬)
৬) পাবলো নেরুদার আরো কবিতা (১৩৮৭)
৭) হাফিজের কবিতা (১৯৮৬)
৮) চর্যাপদ (১৯৮৬)
৯) অমরুশতক (১৯৮৮) প্রভৃতি।
ছড়া:
১) মিউ-এর জন্য ছড়ানো ছিটানো (১৯৮০)
কবিতা সম্পর্কিত গদ্যরচনা
কবিতার বোঝাপড়া
টানাপোড়নের মাঝখানে
রিপোর্টাজ ও ভ্রমণসাহিত্য:
১) আমার বাংলা (১৯৫১)
২) যেখানে যখন (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ)
৩) ডাকবাংলার ডায়েরী (১৯৬৫)
৪) নারদের ডায়েরী (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ)
৫) যেতে যেতে দেখা (১৩৭৬)
৬) ক্ষমা নেই (১৩৭৮)
৭) ভিয়েতনামে কিছুদিন (১৯৭৪)
৮) আবার ডাকবাংলার ডাকে (১৯৮৪)
৯) টো টো কোম্পানী (১৯৮৪)
১০) এখন এখানে (১৯৮৬)
১১) খোলা হাতে খোলা মনে (১৯৮৭)
অর্থনৈতিকরচনা:
১) ভূতের বেগার (১৯৫৪, কার্ল মার্ক্স রচিত ওয়েজ লেবার অ্যান্ড ক্যাপিটাল অবলম্বনে)
অনুবাদ রচনা:
১) মত ক্ষুধা (১৯৫৩)
২) রোজেনবার্গ পত্রগুচ্ছ (১৯৫৪)
৩) ব্যাঘ্রকেতন (নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি অনুবাদ)
৪) রুশ গল্প সঞ্চয়ন (১৯৬৮)
৫) ইভান দেনিসোভিচের জীবনের একদিন (১৯৬৮)
৬) চে গেভারার ডায়েরী (১৯৭৭)
৭) ডোরাকাটার অভিসারে (১৯৬৯) (শের জঙ্গের ট্রায়াস্ট উইথ টাইগার্স অবলম্বনে)
৮) আনাফ্রাঙ্কের ডায়েরী (১৯৮২)
উপন্যাস:
১) হাংরাস (১৯৭৩)
২) কে কোথায় যায় (১৯৭৬)
৩) চিঠির দর্পণে, প্রভৃতি।
জীবনী:
১) জগদীশচন্দ্র (১৯৭৮)
২) ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন (১৯৮৭)
শিশু ও কিশোর সাহিত্য:
১) অক্ষরে অক্ষরে আদিপর্ব (১৯৫৪)
২) কথার কথা (১৯৫৫)
৩) দেশবিদেশের রূপকথা (১৯৫৫)
৪) বাংলা সাহিত্যের সেকাল ও একাল (১৯৬৭)
৫) ইয়াসিনের কলকাতা (১৯৭৮)
৬) নীহাররঞ্জন রায় রচিত বাঙালীর ইতিহাস গ্রন্থের কিশোর সংস্করণ (১৯৫২)
সম্পাদিত গ্রন্থ:
১) কেন লিখি (১৯৪৫, হিরণকুমার সান্যালের সঙ্গে যৌথ উদ্যােগে রচিত)
২) একসূত্র (১৯৫৫, গোলাম কুদ্দুসের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনা)
ছোটদের পুজো সংকলন:
পাতাবাহার, বার্ষিক আগামী ইত্যাদি।
সংকলন:
গদ্যসংগ্রহ (১৯৯৪)
পুরস্কার ও সম্মাননা:
সুভাষ মুখোপাধ্যায় সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার পান ১৯৬৪ সালে। ১৯৭৭ সালে অ্যাফ্রো এশিয়ান লোটাস প্রাইজ, ১৯৮২ সালে কুমারন আসান পুরস্কার, ১৯৮২সালে মির্জো টারসান জেড পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে আনন্দ পুরস্কার এবং সোভিয়েত ল্যান্ড নেহেরু পুরস্কার, ১৯৯২ সালে ভারতীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, ১৯৯৬ সালে সাহিত্য অকাদেমী ফেলোশিপ পান। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানিত করে সর্ব্বোচ্চ সম্মান দেশিকোত্তম দ্বারা। এছাড়াও প্রগ্রেসিভ রাইটার্স ইউনিয়নের ডেপুটি সেক্রেটারি ও ১৯৮৩ সালে অ্যাফ্রো এশীয় লেখক সংঘের সাধারণ সংগঠক নির্বাচিত হন কবি। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি ছিলেন সাহিত্য অকাদেমীর একজিকিউটিভ বোর্ডের সদস্য। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কাব্যগ্রন্থ পদাতিক -এর নামানুসারে ২০০৯ সালে শিয়ালদহ - নিউজলপাইগুড়ি এক্সপ্রেসের নাম হয় "পদাতিক এক্সপ্রেস'। ২০১০ সালের ৭অক্টোবর কলকাতা মেট্রো নিউ গড়িয়া ষ্টেশনটি কবির নামে উৎসর্গ করা হয়, বর্তমানে স্টেশনটির নাম কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন।
মৃত্যু:
আধুনিক যুগে বাংলার এই উজ্জ্বল জ্যােতিষ্ক যকৃৎ এবং হৃদপিন্ডের সমস্যার কারণে দীর্ঘকাল অসুস্থতার পর ২০০৩ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।