জয় গোস্বামী
☰Fullscreen
Table of Content:
ভূমিকা: আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম সেরা কবি হলেন জয় গোস্বামী। তাঁর কবিতাগুলি ভাষা, শব্দ ও ছন্দের অপূর্ব কাজে অনন্য হয়ে উঠেছে।
জন্ম এবং শৈশব: ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ নভেম্বর কলকাতায় জয় গোস্বামীর জন্ম। পাঁচ বছর বয়সে তাঁরা সপরিবারে রানাঘাটে চলে যান। মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর বাবা মারা যান। জয় গোস্বামীর মা ছিলেন শিক্ষিকা।
সাহিত্যকীর্তি: জয় গোস্বামীর প্রথম কবিতা লেখা তেরো বছর বয়সে বাড়ির পুরোনো সিলিং পাখা নিয়ে। উনিশ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কবিতা ছাপা হয়। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে দেশ পত্রিকায় নিয়মিত তাঁর লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কবিতা-সংকলন ক্রীসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ। এরপর একে- একে প্রকাশিত হয়েছে প্রত্নজীব (১৯৭৮), আলেয়াহ্রদ (১৯৮১), উন্মাদের পাঠক্রম (১৯৮৬), ভুতুমভগবান (১৯৮৮), ঘুমিয়েছ, ঝাউপাতা? (১৯৮৯), আজ যদি আমাকে জিঙ্গেস করো (১৯৯১), গোল্লা (১৯৯১), পাগলী, তোমার সঙ্গে (১৯৯৪), বজ্রবিদ্যুৎ ভর্তি খাতা (১৯৯৫), পাখি, হুস (১৯৯৫), ওঃ স্বপ্ন (১৯৯৬) ইত্যাদি কবিতার বই। ১৯৯০-তে ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা? কাব্যগ্রন্থের জন্য এবং ১৯৯৮-তে যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল কাব্যোপন্যাসের জন্য কবি দু- বার 'আনন্দ পুরস্কার' পেয়েছেন। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে জয় গোস্বামী তাঁর বজ্রবিদ্যুৎ ভর্তি খাতা কাব্যগ্রন্থের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পান। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে আগস্ট মাসে পাগলী, তোমার সঙ্গে কাব্যগ্রন্থের জন্য পান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। এ ছাড়াও তিনি বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
লিখনশৈলী: বাস্তব জীবনের নানা ঘটনা, আর তার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয় আমাদের জীবন। কবি জয় গোস্বামী এই বাস্তব জীবন থেকেই সংগ্রহ করে নেন তাঁর কবিতার উপকরণ। তাই কখনও লালগোলা-বনগাঁর ট্রেনে চাল-তোলা মাসিপিসি, কখনও বিয়ে না হওয়া সেলাই দিদিমণি তাঁর কবিতার বিষয় হয়ে ওঠে। আবার প্রেম ও নিঃসঙ্গতা তাঁর কবিতায় বারে বারে ফিরে আসে। জয় গোস্বামীর কবিতা উচ্চকণ্ঠের প্রকাশ নয়। তীব্রতার সঙ্গে কোমলতা মিশিয়ে নিজস্ব কাব্যভাষা তৈরি করেছেন কবি। তাঁর কবিতায় ছন্দের বৈচিত্র্য আছে, প্রতীকের ব্যবহার আছে। তাই তিনি বলতে পারেন-"কলম একমাত্র সত্য। বায়ু অগ্নি জল/প্রবাহিত তার মধ্যে। জগৎ নিশ্চল" (কলম, লেখনক্রিয়া)।
জন্ম এবং শৈশব: ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ নভেম্বর কলকাতায় জয় গোস্বামীর জন্ম। পাঁচ বছর বয়সে তাঁরা সপরিবারে রানাঘাটে চলে যান। মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর বাবা মারা যান। জয় গোস্বামীর মা ছিলেন শিক্ষিকা।
সাহিত্যকীর্তি: জয় গোস্বামীর প্রথম কবিতা লেখা তেরো বছর বয়সে বাড়ির পুরোনো সিলিং পাখা নিয়ে। উনিশ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কবিতা ছাপা হয়। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে দেশ পত্রিকায় নিয়মিত তাঁর লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কবিতা-সংকলন ক্রীসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ। এরপর একে- একে প্রকাশিত হয়েছে প্রত্নজীব (১৯৭৮), আলেয়াহ্রদ (১৯৮১), উন্মাদের পাঠক্রম (১৯৮৬), ভুতুমভগবান (১৯৮৮), ঘুমিয়েছ, ঝাউপাতা? (১৯৮৯), আজ যদি আমাকে জিঙ্গেস করো (১৯৯১), গোল্লা (১৯৯১), পাগলী, তোমার সঙ্গে (১৯৯৪), বজ্রবিদ্যুৎ ভর্তি খাতা (১৯৯৫), পাখি, হুস (১৯৯৫), ওঃ স্বপ্ন (১৯৯৬) ইত্যাদি কবিতার বই। ১৯৯০-তে ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা? কাব্যগ্রন্থের জন্য এবং ১৯৯৮-তে যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল কাব্যোপন্যাসের জন্য কবি দু- বার 'আনন্দ পুরস্কার' পেয়েছেন। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে জয় গোস্বামী তাঁর বজ্রবিদ্যুৎ ভর্তি খাতা কাব্যগ্রন্থের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পান। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে আগস্ট মাসে পাগলী, তোমার সঙ্গে কাব্যগ্রন্থের জন্য পান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। এ ছাড়াও তিনি বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
লিখনশৈলী: বাস্তব জীবনের নানা ঘটনা, আর তার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয় আমাদের জীবন। কবি জয় গোস্বামী এই বাস্তব জীবন থেকেই সংগ্রহ করে নেন তাঁর কবিতার উপকরণ। তাই কখনও লালগোলা-বনগাঁর ট্রেনে চাল-তোলা মাসিপিসি, কখনও বিয়ে না হওয়া সেলাই দিদিমণি তাঁর কবিতার বিষয় হয়ে ওঠে। আবার প্রেম ও নিঃসঙ্গতা তাঁর কবিতায় বারে বারে ফিরে আসে। জয় গোস্বামীর কবিতা উচ্চকণ্ঠের প্রকাশ নয়। তীব্রতার সঙ্গে কোমলতা মিশিয়ে নিজস্ব কাব্যভাষা তৈরি করেছেন কবি। তাঁর কবিতায় ছন্দের বৈচিত্র্য আছে, প্রতীকের ব্যবহার আছে। তাই তিনি বলতে পারেন-"কলম একমাত্র সত্য। বায়ু অগ্নি জল/প্রবাহিত তার মধ্যে। জগৎ নিশ্চল" (কলম, লেখনক্রিয়া)।