খাবারে অনীহা ?
Table of Content:
- শিশুরা খেতে না চাইলে কি করবো?
- ১. খাবারের সময় আনন্দদায়ক করুন
- ২. শিশুদের পছন্দের প্রতি মনোযোগ দিন
- ৩. খাবার আকর্ষণীয় করুন
- ৪. ক্ষুধার অনুভূতি তৈরি করুন
- ৫. স্বাধীনতা দিন
- ৬. চাপ সৃষ্টি না করে ধৈর্য ধরুন
- ৭. রুটিন তৈরি করুন
- ৮. শিশুর আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন
- শেষ কথা
- Stay Ahead of the Curve! Check out these trending topics and sharpen your skills.
শিশুরা খেতে না চাইলে কি করবো?
অনেক বাবা-মা শিশুর খাবারে অনীহা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। শিশুর খাবারে আগ্রহ আনতে কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
১. খাবারের সময় আনন্দদায়ক করুন
শিশুরা যদি খাবারের সময় চাপ অনুভব করে, তাহলে তাদের খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়। তাই খাবারকে উপভোগ্য করতে পারেন:
-
পরিবারের সবাই মিলে একসাথে বসে খেলে শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
-
খাবার খাওয়ানোর সময় জোরাজুরি না করে মজার গল্প বলুন বা গান গেয়ে পরিবেশ আনন্দদায়ক করুন।
২. শিশুদের পছন্দের প্রতি মনোযোগ দিন
-
শিশুর কোন ধরনের খাবার পছন্দ করে তা খেয়াল করুন এবং সেগুলো স্বাস্থ্যকর উপায়ে উপস্থাপন করুন।
-
নতুন খাবার খাওয়ার জন্য শিশুকে জোর না করে ধাপে ধাপে পরিচিত করান।
৩. খাবার আকর্ষণীয় করুন
শিশুর প্লেটে খাবার আকর্ষণীয় করতে পারেন:
-
খাবারকে বিভিন্ন রঙের সবজি, ফল এবং আকর্ষণীয় আকৃতিতে পরিবেশন করুন।
-
কার্টুন বা গল্পের চরিত্রের আকৃতির খাবার তৈরি করুন, যা শিশুর আগ্রহ বাড়াবে।
৪. ক্ষুধার অনুভূতি তৈরি করুন
-
শিশুকে অতিরিক্ত স্ন্যাকস বা বেশি পরিমাণে দুধ খেতে না দিন, এতে খাবারের সময় ক্ষুধার অনুভূতি কমে যায়।
-
নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫. স্বাধীনতা দিন
-
শিশুকে নিজে খেতে দিন, এতে তার আত্মবিশ্বাস ও খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
-
শিশুকে বাজার করা বা রান্নার কাজে সাহায্য করতে দিন, এতে তারা খাবারের সাথে সম্পর্কিত হতে পারবে।
৬. চাপ সৃষ্টি না করে ধৈর্য ধরুন
-
শিশুকে খাওয়ার জন্য বারবার বলবেন না, এতে তারা বিরক্ত হতে পারে।
-
"তুমি না খেলে আমি কষ্ট পাব" এরকম কথা না বলে বরং বলুন, "এই খাবার তোমার শরীরের জন্য ভালো"।
৭. রুটিন তৈরি করুন
-
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার দিন, এতে শিশুর শরীর স্বাভাবিক ক্ষুধার সংকেত বুঝতে পারবে।
-
একবার খাবার না খেলে শিশুকে বারবার স্ন্যাকস না দিয়ে পরবর্তী খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে দিন।
৮. শিশুর আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন
-
যদি শিশুর খাবারে দীর্ঘমেয়াদী অনাগ্রহ থাকে এবং ওজন কমতে শুরু করে, তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
-
কোনো খাদ্য-সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা থাকলে তা দ্রুত নির্ণয় করুন।
শেষ কথা
শিশুর খাবারে অনীহা কাটানোর জন্য ধৈর্য ও সঠিক পদ্ধতির প্রয়োজন। শিশুর খাবার সময়টিকে আনন্দদায়ক করুন, তাকে স্বাধীনতা দিন এবং তার পছন্দ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করুন। ধীরে ধীরে শিশুর খাবারের প্রতি ভালো অভ্যাস গড়ে উঠবে।