সাফল্য অর্জনকারী তালেবে ইল্মের গুণাবলী
Table of Content:
সাফল্য অর্জনকারী তালেবে ইল্মের গুণাবলী
সময়কে সঠিক ভাবে হিফাযত করা ও সসয় দ্বারা উপকৃত হওয়ার জন্য তালেবে ইলমের তিনটি গুণ থাকা প্রয়োজন।
- দ্রুত লিখতে পারা।
- দ্রুত পাঠ করতে পারা।
- দ্রুত গতিতে চলা।
দ্রুত লিখন: এতে উস্তাদের পুরো তাক্রীর বা লেকচার খাতাবন্ধী করা সম্ভব।
দ্রুত পঠন: এর দ্বারা দ্রুত মুখস্থ করে অন্য কাজ করা যায় এবং বেশী ইলম অর্জন করা যায়।
দ্রুত চলন: এর দ্বারা স্বীয় উস্তাদের নিকট সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হবে।
এসব গুণগুলো এমন যদ্দারা অল্প হায়াতে, সংক্ষিপ্ত সময়ে বিশাল জ্ঞানের ভান্ডার অর্জন করা সম্ভব।
অতীত কভু ফিরে আসবে না।
হযরত আবু গাদ্দাহ (রঃ) বলেন, সময়কে অযথা ব্যয় করা থেকে বাঁচাও। কারণ তা ক্রমশঃ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর ক্ষয়িত সময় তুমি নতুন ভাবে আবার কাজে লাগাতে পারবেনা। তা কোন দিন তোমার কাছে ফিরে আসবে না। তাই নিজেকে এবং নিজের সময় ও আমলকে সুবিন্যস্ত করে সময় দ্বারা উপকৃত হও। তুমি ছাত্র, শিক্ষক, লেখক, পাঠক, বক্তা, শ্রোতা, তেলাওয়াতকারী, রাত জেগে ইবাদতকারী, যাই হও সময় নষ্ট করে নিজের মূল্যবান জীবনকে হত্যা করোনা। রত্নতুল্য মুহুর্তগুলোকে অযথা ব্যয় করে নিজের উপর জুলুম করোনা। অলসতা ও বিলাসিতার পেছনে পড়ে ফজিলত ও বুযুর্গির সুমহান মর্যাদা হাত ছাড়া করোনা।
সময় শ্রেষ্ঠ সম্পদ হওয়ার প্রকৃত কারণ
হযরত হাসানুল বান্নাহ (রঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সময়ের মূল্য দিতে শিখেছে, সে জীবনের মূল্য দিতে সক্ষম হয়েছে। কারণ মানুষের সময়ই প্রকৃত জীবন। প্রবাদ আছে, 'সময় অমূল্য রতন'। এ প্রবাদটি তাদের কাছে সত্য যারা চিন্তা-চেতনা, জ্ঞান ও উন্নত মনোভাবের অধিকারী। তাদের নিকট সময়ের মর্যাদা অনেক বেশী। তাদের মতে সময়ই হল জীবন। মানুষের চিন্তা করা উচিৎ, এ পৃথিবীতে জীবনই বা কি? এ তো জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী অনিশ্চিত ও অনির্ধারিত একটি অবকাশ। সোনা-রূপা-মণি-মুক্তা তো আসা যাওয়া করে। একবার হাত ছাড়া হলে আবার হাতে আসার সম্ভাবনা থাকে। কপাল ভাল হলে পরের বার পরিমাণে আগের চেয়ে বেশীও আসতে পারে। কিন্তু যে সময় হাত ছাড়া হয়ে যায় তা আর কোন ক্রমেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। চিন্তা করে দেখুন, বাস্তবিক পক্ষে সময় হিরা-হযরত ও মণি-মুক্তা অপেক্ষা অধিক মূল্যবান কি না? তবেই বুঝতে পারবেন যে, সময়ই জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।