ডোপামিন

Rumman Ansari   Software Engineer   2024-06-05 08:12:40   17 Share
Subject Syllabus DetailsSubject Details
☰ Table of Contents

Table of Content:


একটা কাজ শেষ করতে পারলে মনে শান্তি আসে ব্রেনে ডোপামিন নিঃসরণের জন্যে। কাজের পুরস্কার। কাজের ফল পেলে আরও ডোপামিন নিঃসরণ, আরও শান্তি।

একটা লক্ষ্য স্থির করি। সেই লক্ষ্যে প্রতিদিন কিছু কিছু কাজ করে যাই। এটা করলে ব্রেনে ডোপামিন নিঃসরণ হবে। ডোপামিন সুখের হরমোন। মনে সুখী সুখী ভাব আসবে। ডোপামিন শেখার ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতি শক্তি বাড়ায়, মোটিভেশান বা উদ্দীপনা বাড়ায়, অধ্যাবসায়ের শক্তি বাড়ায়।

কাজের সংগে যদি মন যুক্ত হয়

কাজের সংগে যদি মন যুক্ত হয়- খুব শান্তি। কাজের সংগে যদি মন যুক্ত না হয়- কষ্ট।

লেখক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, খেলোয়াড়দের কাজের সংগে তাদের মন যুক্ত হয়। এতে তারা তাদের কাজে খুব শান্তি ও আনন্দ পায়।

ভ্রমণ পিপাসুরা ভ্রমণের সংগে মন যুক্ত করে। তারা আনন্দ পায়। ভ্রমণের মন না থাকলে জার্নিটা কষ্টের

যারা পড়াশোনার সংগে মন যুক্ত করে, তারা পড়তে খুব শান্তি ও আনন্দ পায়। পড়ায় মন যুক্ত করতে না পারলে এ কাজটা কষ্টের।

"When you do things from your soul, you feel a river moving in you, a joy." - Jalal ad-Din Rumi

ভাল নেশা বা অভ্যাস তৈরি করি

খারাপ নেশা, ভাল নেশা দুটাতেই ডোপামিন নিঃসরণ হয়। খারাপ নেশাতে ডোপামিন নিঃসরণ হয়ে সাময়িক আনন্দ দিতে পারে, দিতে পারে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি।

ভাল নেশা যেমন বই পড়া এবং আরো কিছু ভাল কাজেও এই ডোপামিন নিঃসরণ হয়ে সাময়িক আনন্দ এবং দীর্ঘস্থায়ী উপকার দিতে পারে।

অধ্যাবসায়ের আনন্দ

কোন একটি লক্ষ্যে পৌছানোর পর ব্রেনে ডোপামিন নিঃসরণ হয় (reward for achieving goal). লক্ষ্যে পৌছানোর প্রচেষ্টার সময়ও এ কেমি- ক্যালটির নিঃসরণ হয়। ডোপামিন মনে প্রশান্তি দেয়, আনন্দ দেয়। এজন্যে অধ্যাবসায়ের সময়ও মানুষ আনন্দ পায় (অধুনা দিনের গবেষণা বলছে, লক্ষ্যে পৌছানোর সময় যত ডোপামিন নিঃসরণ হয়, তার থেকে বেশি নিঃসরণ হয় প্রচেষ্টা, মানে অধ্যাবসায়ের সময়।

এজন্যেই হইতো কোন এক মনীষী বলেছিলেন, অন্বেষণের আনন্দ প্রাপ্তির আনন্দের থেকে অধিক।

বেশি বেশি ডোপামিন নিঃসরণের জন্য উচিত, লক্ষ্য নির্ধারণ ও সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া।

ধার্মিকেরা সুখী হয় কেন?

দু'টি মূল ব্যাখ্যাঃ

✓ ধর্ম মানুষকে জীবনের মানে এবং জীবনের লক্ষ্য বলে দেয়।

✓ ধর্ম সামাজিক সম্পর্ক শেখায়।

(তথ্যসূত্রঃ Argyle, 1987; Myers & Diener, 1995; Watson, 2000)