থিটা তরঙ্গ

Rumman Ansari   Software Engineer   2024-06-05 10:07:45   14 Share
Subject Syllabus DetailsSubject Details
☰ Table of Contents

Table of Content:


থিটা তরঙ্গ - 4 Hz to 7 Hz

আলফা লেভেল (ব্রেন ওয়েভ ফ্রেকুয়েন্সি ৯-১৩) প্র্যাকটিস করতে করতে মানুষ পৌছে থিটা লেভেলে। থিটা লেভেলে (ব্রেন ওয়েভ ফ্রেকুয়েন্সি ৩-৭) আধ্যাত্মিক ক্ষমতা লাভ হয়।

থিটা তরঙ্গঃ উপকারিতা

১. ইতিবাচক মানসিক অবস্থা তৈরিতে সহায়তা করে

২. সৃজনশীলতা বা creativity বাড়ায়।

৩. শেখার ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়-গবেষণা বলছে, ব্রেনে যখন থিটা ওয়েভ থাকে, তখন লেখাপড়ার ক্ষমতা ৩ গুণ বাড়ে।

৪. দুঃশিন্তা কমায়, ডিপ্রেশন কমায়।

৫. ব্রেনের স্বচ্ছভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়।

৬. সমস্যা সমাধানে চিন্তা করার দক্ষতা বাড়ায়।

৭. বেন ও শরীরকে রিলাক্স করে।

৮. মনে ফুর্তি আনে (endorphin secretion এর কারণে)

৯. মনোযোগ বাড়ায়।

১০. ইনটুইশন বাড়ায়।

কিভাবে ব্রেনে থিটা তরংগ বাড়ানো যায়

দীর্ঘক্ষণ (১ ঘন্টা) গভীর মনোযোগে কোরআন অধ্যয়ন করে বা শুনে, জিকির করে, মেডিটেশন করে ইত্যাদি।

 প্রশান্ত আত্ম

হে প্রশান্ত আত্মা, সন্তুষ্ট চিত্তে তোমার রবের কাছে এসো এবং আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে আমার জান্নাতে প্রবেশ করো।

[কুরআন ৮৯:২৭-৩০।

মানুষ যখন অস্থির থাকে, তখন ব্রেনে থাকে বিটা ওয়েভ, ফ্রেকুয়েন্সি বেশি, মিনিটে। ২০ এর মত।

শান্ত অবস্থায়, যখন মানুষ গভীর মনোযোগে আল্লাহর জিকির করে, গভীর মনোযোগে নামাজ পড়ে, তখন ব্রেনে আলফা ওয়েভ বেশি থাকে, ফেকুয়েন্সি ৮-১২। কাজেই নামাজ, জিকির আত্মাকে প্রশান্ত করে।

যারা দীর্ঘদিন গভীর মনোযোগে জিকির করে, নামাজ পড়ে, তাদের ব্রেনে জাগ্রত অবস্থায় আলফা ওয়েভের থেকে আরো গভীরের ওয়েভ থিটা বেশি পাওয়া যায়, যার ফ্রেকুয়েন্সি ৩-৭। (থিটা ওয়েভ সাধারণ মানুষের ঘুমন্ত অবস্থায়ও পাওয়া যায়)। কাজেই দীর্ঘ দিন ধরে গভীর মনোযোগে নামাজ, জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করলে ব্রেন বা আত্মা অনেক প্রশান্ত থাকে। এ প্রশান্ত আত্মা বেহেস্তে যাওয়ার উপযোগী।

(মহান আল্লাহ আমাকে যতটুকু জ্ঞান দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে কথাগুলো বলা। কেউ অবলীলায় আমার সংগে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন)।

মাথা ব্যাথায় আলফা ও থিটা ওয়েভ

মাথা ব্যাথা হলে কিছুক্ষণ কোরআন তেলাওয়াত শুনি। ভাল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

মাইগ্রেন (মাথা ব্যথা) এ ব্রেন ওয়েভ ফ্রেকুয়েন্সি হয়ে যায় ৯০-২০০ Hz, যা স্বাভাবিক অবস্থায় ১৩-২০।

স্বাভাবিক মানুষদের কোরআন তেলাওয়াত করলে বা শুনলে এই ফ্রেকুয়েন্সি কমে ৮-১২ হয়। যারা দীর্ঘদিন বা দীর্ঘক্ষণ তেলাওয়াত শুনে, তাদের ফ্রেকুয়েন্সি ৩-৭ ও হয়। মোটকথা কোরআন তেলাওয়াত ব্রেন ফ্রেকুয়েন্সি কমায়। ফলে মাথা ব্যাথা কমে।

হাফেজী (কোরআন মুখস্থ) ছোট বেলায় পড়ানো হয় কেন?

হাফেজী (কোরআন মুখস্থ) ছোট বেলায় পড়তে হয়। বড় হয়ে কোরআন মুখস্থ করা অনেকটা কঠিন। ছোট বেলায় ব্রেনে থিটা ওয়েভ বেশি থাকে, এজন্য পড়া মনে থাকে বেশি।

বড় হয়েও ব্রেনে থিটা ওয়েভ তৈরি হয়, অনেকক্ষণ (ঘন্টা খানেক) কোরআন পড়লে বা শুনলে বা গভীর মনোযোগে জিকির করলে।

বিচক্ষণতা

ব্রেনে যদি আলফা ও থিটা ওয়েভ বেশি থাকে, সেরোটোনিন যথার্থ পরিমাণে থাকে, তাহলে মানুষ বিচক্ষণ হতে পারে।

কোরআন পড়লে বা শুনলে, জিকির করলে, মনোযোগে পড়াশোনা করলে, সাইক্লিং করলে, সূর্যের আলোতে সময় অতিবাহিত করলে, মুক্ত বাতাসে হাটা, দৌড়ানো ইত্যাদি ব্যায়াম করলে ব্রেনে বেশি পরিমাণে আলফা ও থিটা ওয়েভ তৈরি হয় এবং যথার্থ পরিমাণে সেরোটোনিন তৈরি হয়।