সেরোটোনিন কমে গেলে ডিপ্রেশন হয়

Rumman Ansari   Software Engineer   2024-06-05 07:53:56   25 Share
Subject Syllabus DetailsSubject Details Login to Open Video
☰ Table of Contents

Table of Content:



সেরোটোনিন কমে গেলে ডিপ্রেশন হয়।

কোন ঘটনা নিয়ে বেশি চিন্তা করতে করতে ব্রেনে সেরোটোনিনের ঘাটতি হয়ে যায়। কারণ চিন্তার সময় ব্রেন সেরোটোনিন ব্যবহার করে। সেরোটোনিন কমে গেলে ডিপ্রেশন হয়। ডিপ্রেশনে সেরোটোনিন ঘাটতির কারণে ছোট একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে গিয়েও সিদ্ধান্তে পৌছতে অনেক সময় লাগে। বড় বিষয় হলে সেটা সম্বন্ধে চিন্তা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আরও সমস্যা হয়। ফলে মানুষটি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে যায়।

সেরোটোনিন কমে গিয়ে ডিপ্রেশনে গেলে মানুষের মনোবল খুব কমে যায়। এতে সে নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখে। ফলে সে আত্মহত্যা করতে চায়। এজন্যে আল্লাহ কোরআনে আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হতে নিষেধ করেন। মানে, আল্লাহর রহমতের আশা রাখ। আল্লাহ তোমার এই খারাপ অবস্থা কিছু পরেই ভাল করে দিতে পারেন।

আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া মহাপাপ। এজন্যে আত্মহত্যা করা মহাপাপ।

কোরআন পড়া, জিকির, মেডিটেশন, ব্যায়াম, কোন সমস্যায় অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ গ্রহণ (সাইকোথেরাপি) করার মাধ্যমে ব্রেনে সেরোটোনিন বাড়ানো যায়।

সেরোটোনিন একধরনের নিউরোট্রান্সমিটার। নিউরোট্রান্সমিটার হলো একধরনের সিগন্যালিং কেমিক্যাল, যার মাধ্যমে একটি নিউরন অন্য নিউরনের সঙ্গে কমিউনিকেট করে। নিউরন হলো স্নায়ু সিগন্যাল পাঠানোর কোষ। মানুষের শরীরে এমন ১০০টির বেশি নিউরোট্রান্সমিটার আছে, যারা এই স্নায়ুবিক সংকেতগুলো একস্নায়ুকোষ থেকে আরেকটিকে নিয়ে যায়। একটু বললে সেরোটোনিন হলো মনোএমাইন ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, যাদের মধ্যে অ্যামিনো আছে।

মনো মানে এক, একটি অ্যামিনো আছে। এমন আরো একই ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার আছে, যেমন : ডোপামিন, নরএপিনেফ্রিন। মনোএমাইন ধরনের নিউরোট্রান্সমিটারগুলো আমাদের বিভিন্ন ধরনের ইমোশান, যৌনতা বোধ, স্মৃতি, এমন সব অনুভূতির সিগন্যাল কমিউনিকেশন মডুলেটর হিসেবে কাজ করে।

বিনা ওষুধে মন খারাপ বা বিষন্নতা দূর করার কিছু উপায়

১. গভীর মনোযোগে নামাজ পড়া, কোরআন পড়া, জিকির করা বা মেডিটেশন।

২. বেশি বেশি আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া।

৩. রোদে অবস্থান

৪. ব্যায়াম

৫. মনের কষ্ট ঘনিষ্ঠ কারো কাছে বলা এবং পরামর্শ গ্রহণ।

৬. স্থান পরিবর্তন- কোন জায়গা থেকে কিছুদিন ঘুরে আসা।

এসব কাজে ব্রেনে সেরোটোনিন রিলিজ হয়। ফলে মন খারাপ বা বিষন্নতা কমে, মনে সুখের অনুভূতি ফিরে আসে।

সেরোটোনিনের কেমিক্যাল নাম ট্রিপ্টামিন। ঠিকমতো বললে ৫-Hydroxytryptamine । সেরোটোনিনের অনেক কাজ। প্রধান কাজ অন্ত্রে, বাকি কাজ মস্তিষ্কে। মস্তিষ্কে মুড, মেমোরি, লার্নিং প্রসেসে সেরোটোনিন কাজ করে।

কিন্তু ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন তৈরি হয় পেটে। বিশেষ করে অন্ত্রে এন্টেরোক্রমাফিন কোষে। পেটের এবং গোটা অন্ত্রের স্নায়ুবিক নিয়ন্ত্রণের জন্যে একধরনের নার্ভ নেটওয়ার্ক আছে। নাম : এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম। সেরোটোনিনের বেশির ভাগ এখানেই তৈরি হয়। অন্ত্রের মাসল মুভমেন্টে সেরোটোনিন হেল্প করে।

Food habits

  • Egg
  • Salmon
  • Soya Food
  • Nuts and Whole grain
  • Fresh Fruits Meat and Organ
  • Sweetener
  • Dark chocolate

রক্তে স্বাভাবিক মাত্রার সেরোটোনিন লেভেল ০১–২৮৩ manograms per milliliter (ng/ml)। খুব বেশি মাত্রার সেরোটোনিনের উপস্হিতি কার্সিনোয়েড সিনড্রোমের সিম্পটম। সূর্যের আলো, ব্যায়াম, সেরোটোনিন রিচ ফুড, ইত্যাদিতে শরীরে সেরোটোনিন সিক্রেশন বাড়ে। সেরোটোনিনের কম যেমন মুডের ওপর প্রভাব ফেলে, তেমনি শরীরে সেরোটোনিনের বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব ফেলে। কমে যাওয়া সেরোটোনিন এর ক্ষেত্রে সেরোটোনিন দিয়ে মুড চেঞ্জ করা হয়, যা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট নামে পরিচিত। আবার সেরোটোনিন বেড়ে গেলে এরকম বেড়ে যাওয়া একটি পরিস্হিতির নাম—সেরোটোনিন সিনড্রোম। সেরোটোনিন সিনড্রোম বেশির ভাগ সময় হয় অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট মেডিসিন ওভার ডোজ হয়ে গেলে। শরীর যতটুকু সেরোটোনিন প্রসেস করতে পারে, তার চেয়ে বেশি সেরোটোনিন জমতে থাকে শরীরে। এমন হলে হাত-পা কাঁপবে, নার্ভাস এবং অস্হির লাগতে পারে, কারণ ছাড়া ডায়রিয়া হবে, মাথাব্যথা, মৃদু জ্বর, নির্ঘুমটা দেখা দিতে পারে। হার্ট রেট বেড়ে যেতে পারে, ব্লাডপ্রেশার হাই হয়ে যায়, ঘামাতে পারেন, পিউপিল ডাইলেটেড হতে পারে, এমনকি পেশির খিঁচুনি থেকে মস্তিষ্কে সুইজার দেখা দিতে পারে। সেরোটোনিন সিনড্রোম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হলো ডাক্তারের দেওয়া ডোজের বাইরে বেশি মাত্রায় কখনো খাবেন না। বিভিন্ন ধরনের ড্রাগ—কোকেন, এলএসডি, মারিওয়ানা, এসব খেলেও সেরোটোনিনের মাত্রা অনেক বেড়ে যেতে পারে।