কিছু পারিবারিক নিয়ম থাকা উচিত
Table of Content:
কিছু পারিবারিক নিয়ম থাকা উচিত
ভুক্তভোগী মা-বাবারা নিজেদের বিষয়গুলির ব্যাপারে যতটা আপোস করেন তার চাইতে বেশী আপোস করেন সন্তানদের বিষয়াদিতে। আর খারাপ কাহিনীর শুরু এখান হতে। প্রাত্যহিক জীবনের চাহিদা পূরণে আপোস, পারিবারিক মূল্যবোধ ধরে রাখার ক্ষেত্রে অবহেলা, সন্তানদের বন্ধুবান্ধব নির্বাচনে একেবারে লাগামহীন স্বাধীনতা দান, করণীয়সমূহের লিষ্টে ধর্মীয় শিক্ষাদানকে সবকিছুর পেছনে রাখা, মা-বাবাদের একান্ত নিজস্ব বিষয়গুলির প্রতি উদাসীন থাকা, সন্তানদের আলাদা সত্তার স্বীকৃতি না দেয়া, সন্তানদের অন্যায় আবদার মেনে নেয়া ইত্যাদি হলো পরিবার নামক দেহে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ।
প্রত্যেকটি পরিবারের কিছু অলিখিত মূল্যবোধ বা ঐতিহ্য রয়েছে। পরিবারের কর্তাগণ যদি সে মূল্যবোধগুলির ব্যাপারে মনোযোগী হন তাহলেই একটা বড় ধরনের লক্ষ্য অর্জিত হয়ে যায়। যেমন কোন কোন পরিবারে এ নিয়ম রয়েছে যে স্কুল পড়ুয়া সন্তানগণ কোন অবস্থাতেই অনুমতি ছাড়া মাগরিবের পর ঘরের বাইরে থাকতে পারবে না। এটিও কম নয়। এ বিষয়টিও এমন যে আমেরিকার সরকার কোন কোন অঙ্গরাজ্যে কার্ফিউ জারী করে স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের ঘরের ভেতর থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর এ সংক্রান্ত গবেষণায় ৫৩৪টি আমেরিকান শহরে সান্ধ্যকালীন কারফিউ সম্পর্কে জনতার যে মতামত পাওয়া গেছে তা এই : শতকরা ৯৭ ভাগ শহরবাসী বলেছেন কারফিউর ফলে শিশু অপরাধ অনেক কমেছে; ৯৬ ভাগ বলেছেন কারফিউর কারণে ফাঁকিবাজী কমেছে; ৮৮ ভাগ বলেছে কারফিউ মাস্তানি কমিয়েছে; কারফিউর ফলে ৫৬ ভাগ শহরে বড় ধরনের অপরাধ কমেছে। অতএব আমার পরিবারে যদি এ ধরনের কোন ঐতিহ্য থেকে থাকে তাহলে তা শিথিল যেন না করি। বরং আরো কড়াকড়িভাবে সন্তানদের এ নিয়ম পালনে উৎসাহিত করি। তারা যদি এ নিয়ম পালন করে তাহলে পুরস্কৃত করতে পারি।