পড়াশোনা - Study
Table of Content:
- পড়াশোনায় মনোযোগ
- পড়াশোনায় মনোযোগের জন্য ব্রেনে আলফা তরঙ্গ দরকার।
- গভীর মনোযোগে পড়াশোনা ও প্রশান্তি
- মনোযোগের জন্যে দুটি বিষয়
- গভীর মনোযোগে যারা পড়াশোনা করে তারা বিষন্নতা অসুখে খুব কম ভুগে।
- ক্লাসটাকে রিফ্রেশ করার ব্যাপার
- পড়ায় মনোযোগের জন্যে উপকারী কাজ
- Stay Ahead of the Curve! Check out these trending topics and sharpen your skills.
পড়াশোনায় মনোযোগ
শতকরা ২৫ ভাগ মানুষের জন্মগতভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার প্রবণতা থাকে। বাকী ৭৫ ভাগ মানুষের থাকে না, তাদের কৌশলে, মনের বিরুদ্ধে জোর করে পড়তে হয় ।
পড়াশোনায় মনোযোগের জন্য ব্রেনে আলফা তরঙ্গ দরকার।
পড়তে বসার আগে অন্তত ৫ মিনিট কোরআন পড়লে (বা জিকির করলে) ব্রেনে আলফা তরঙ্গ তৈরি হয়। ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ আসে এবং পড়ায় বরকত হয়।
গভীর মনোযোগে পড়াশোনা ও প্রশান্তি
গভীর মনোযোগে যারা পড়াশোনা করে, তারা মনে অনেক প্রশান্তি অনুভব করে, তাদের মধ্যে সুখী সুখী ভাব থাকে। এক ঘন্টা গভীর মনোযোগে পড়ার পর মাঠে বা ফাকা রাস্তায় হাটতে থাকা কেউ আমার এ কথাগুলোর সত্যতা উপলদ্ধি করতে পারবে।
(দীর্ঘ দিন যারা মনোযোগে পড়াশোনা করে, তাদের মধ্যে creativity তৈরি হয়, তারা productive হয়।)
যে সব কথা বললাম, এসবের ব্যাখ্যা হল, গভীর মনোযোগে পড়লে ব্রেনে বেশি পরিমাণ আলফা ওয়েভ তৈরি হয়। ব্রেনে বেশি আলফা ওয়েভ এর কারণে উল্লেখিত উপকারগুলো পাওয়া যায়।
মনোযোগের জন্যে দুটি বিষয়
মনোযোগের জন্যে দুটি বিষয় প্রয়োজন
১ নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ফোকাস করা।
২. আজে বাজে, অপ্রয়োজনীয় চিন্তা থেকে মনকে নিয়ন্ত্রণ করা।
কোরআন পড়লে বা শুনলে ব্রেনে আলফা ওয়েভ তৈরি হয়, ফলে বিষয়টির উপর ফোকাস করা সহজ হয়।
কোরআন পড়লে বা শুনলে আজে বাজে চিন্তাও দূর হয়।
গভীর মনোযোগে যারা পড়াশোনা করে তারা বিষন্নতা অসুখে খুব কম ভুগে।
গভীর মনোযোগে যারা পড়াশোনা করে তারা বিষন্নতা বা মন খারাপ অসুসে খুব কম ভুগে।
গভীর মনোযোগে পড়লে ব্রেনে সেরোটোনিন release হয়, কলে depression অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমে যায় ।
ক্লাসটাকে রিফ্রেশ করার ব্যাপার
একজন স্টুডেন্ট গড়ে ১৫ মিনিট, অতি মনোযোগী হলে সর্বোচ্চ ২৩ মিনিট ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারে। একটানা এর বেশি কেউ মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না।
এজন্যে শিক্ষকের উচিৎ ১৫-২০ মিনিট পর পর ক্লাসটাকে রিফ্রেশ করার জন্যে ২-৩ মিনিট গল্প বলা।
পড়ায় মনোযোগের জন্যে উপকারী কাজ
- কোরআন পড়া বা শুনা
- জিকির করা
- পড়তে বসার আগে একটু হেটে আসা
- পড়ার প্ল্যান বা টার্গেট লিখে রাখা
- কোন ভাল কাজ যেমন নামাজ, কোরআন, জিকির ইত্যাদির পর পড়তে বসা এবং পড়তে বসার আগে জ্ঞানের জন্যে দোয়া পড়া।
পড়তে বসার আগে ১ দিন পুরো মানসিক প্রিপারেশন এর জন্য ব্যয় করতে হবে। এ সময় পড়ার পরিবেশ গোছানো, রুটিন করা, পড়ার প্রতিদিনের টার্গেট ঠিক করা, ধর্মীয় বই পড়ে মাথা ঠান্ডা করা, এসব কাজগু-ে লা করতে হবে)
এসব করেও ব্যর্থ হলে- বেশি বেশি কোরআন পড়তে হবে । ৩ দিন সময় কোরআন পড়া বা শুনা। ৩ দিন পর পড়তে বসা ।
একটা সাইকেল বা গাড়ি যখন স্টার্ট করা হয়, তখন তার গতি খুব কম থাকে। চলতে চলতে গতি বাড়ে।
(যেদিন পড়া শুরু করা হবে, সেদিন পড়ার গতি কিছুটা কম থাকে। যতই পড়া হয়, ততই পড়ার গতি বাড়ে।)