পড়ালেখার আসল উদ্দেশ্য কী?
Table of Content:
ইসলামে পড়ালেখার আসল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানবতার সেবা করা। ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষা এক ধরনের ইবাদত, এবং এর মাধ্যমে ব্যক্তির আত্মিক ও শারীরিক উন্নতি সাধিত হয়। নিচে ইসলামে পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্যসমূহ তুলে ধরা হলো:
অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা:
মুসলিমদের শিক্ষা নেওয়ার উদ্দেশ্য শুধু নিজেকে উন্নত করা নয়, বরং সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হওয়া, ন্যায়, শান্তি এবং মানবতার সেবা করা। একজন মুসলিমের কর্তব্য হলো তার শিক্ষা, দক্ষতা এবং জ্ঞান দ্বারা সমাজের কল্যাণে অবদান রাখা। সমাজে অর্থপূর্ণভাবে অবদান রাখতে ক্ষমতায়ন করা। সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি করা।
আল্লাহর বান্দার দায়িত্ব পালন :
ইসলামে মানুষকে আল্লাহর অনুগত হতে শেখানো হয়। এর জন্য মানুষের উচিত তার জ্ঞান ও বুদ্ধিকে ব্যবহার করে আল্লাহর নিয়ম অনুসরণ করা। আল্লাহ বলেন:
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন; আল্লাহ লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, তোমরা যা কর সেই সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত।
৫৮ সূরাঃ আল-মুজাদালা | Al-Mujadila | سورة المجادلة - আয়াতঃ ১১
বিশ্বের সৃষ্টির উদ্দেশ্য উপলব্ধি করা:
ইসলামে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য, আল্লাহর প্রাকৃতিক বিধান এবং মহাবিশ্বের গঠন সম্পর্কে বুঝতে পারে। আল্লাহ বলেন:
নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং রাত ও দিনের বিবর্তনের মধ্যে রয়েছে বিবেকসম্পন্নদের জন্য বহু নির্দশন।
৩ সূরাঃ আলে-ইমরান | Al-i-Imran | سورة آل عمران - আয়াতঃ ১৯০
কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান অর্জন
ইসলামে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান লাভ করা। এর মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহর পথে চলার সঠিক পথ জানতে পারে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে পারে।
দুনিয়াতে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা:
শিক্ষা মানুষকে ন্যায়পরায়ণ, সদাচারী এবং আত্মনির্ভরশীল করে তোলে, যা সমাজে শান্তি এবং সমৃদ্ধি আনে। একে অপরকে সঠিক পথ দেখানো এবং পারস্পরিক সহানুভূতি ও সম্মান অর্জন করা ইসলামের শিক্ষা।
নিজের আত্মশুদ্ধি:
শিক্ষা মানুষের আত্মাকে শুদ্ধ করে, তাকে বিনয়ী ও সহনশীল করে তোলে। ইসলামে শিক্ষা অর্জন শুধু বাহ্যিক দক্ষতা অর্জন নয়, বরং মানসিক এবং আত্মিক উন্নতিরও উপায়।