রাগ নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করবো?
Table of Content:
রাগ নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করবো?
সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে রাগ বা ক্রোধকে দমন করে সহনশীলতা ও কোমলতা অবলম্বন করতে পারা মা-বাবাদের একটি বিশেষ গুণ। ক্রোধ আসে শয়তানের পক্ষ হতে। শয়তান মানুষের চরম শত্রু। সে কারণে কখনো কেউ ক্রোধ বা রাগের বশীভূত হলে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে হয়। কেননা ক্রোধ মানুষের হিতাহিত জ্ঞানকে নিঃশেষ করে দেয়। ফলে ক্রোধ মানুষকে যে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনায় ফেলে দিতে পারে। তাইতো আল কুরআনুল কারীম ও হাদীসে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে ক্রোধের অপকারিতা বর্ণিত হয়েছে এবং সহনশীলতা, ধৈর্য ও কোমলতার নীতি অবলম্বন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল কুরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেন:
"তাঁদের (মু'মিনদের) বৈশিষ্ট্য হলো তাঁরা ক্রোধকে হজম করে এবং লোকদের সাথে ক্ষমার নীতি অবলম্বন করে চলে।" (সূরা আলে ইমরান ৩ : ১৩৪)
অনেক সময় আমরা মা-বাবারা নিজ সন্তানদের কিছু কার্যকলাপ দেখে খুবই অস্থির হয়ে যাই এবং নিজেদের রাগকে কন্ট্রোল করতে পারি না। আমরা পত্র- পত্রিকায় এরকমের কয়েকটি দুর্ঘটনা দেখেছি। বাবা রাগের বশবর্তী হয়ে নিজ সন্তানকে আঘাত করতে গিয়ে মেরেই ফেলেছেন। আবার নিজ মেয়েকে শাসন করতে গিয়ে নিজেকেই শেষে জেলে যেতে হয়েছে। যাহোক সবসময় একটা কথা মনে রাখতে হবে যে সন্তানদেরকে শাসন করতে হবে ধৈর্যের মাধ্যমে। কিছুতেই তাদের উপর অত্যাচার করা যাবে না। শিশুদের শাস্তির নামে অত্যাচার করা এক প্রকার child abuse। সঠিক সংশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুকে শুধরাতে হবে। নিম্নে রাগ দমনের কিছু টিপ্স দেয়া হলো। রাগ হলেঃ
১. ওযু করা অথবা গোসল করে নেয়া আর বুঝতে হবে এখানে শয়তান উপস্থিত।
২. নফল সলাত আদায় করা, এমতাবস্থায় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। নিশ্চয়ই আল্লাহ সাহায্যকারী, আমাদের প্রতিপালক ও সর্বনিয়ন্তা মালিক।
৩. দাঁড়ানো থাকলে বসে পড়া, বসে থাকলে শুয়ে যাওয়া।
৪. চোখ বন্ধ করা, দীর্ঘ নিশ্বাস নেয়া।
৫. উল্টো দিক থেকে গণনা করা।
৬. নিজে নিজে পজিটিভ কথা বলা, নিজের কাছে নিজে আপিল করা।