হজরত আলী রা.

Rumman Ansari   Software Engineer   2024-05-11 09:39:48   154  Share
Subject Syllabus DetailsSubject Details
☰ TContent
☰Fullscreen

Table of Content:

পরিচিতি

৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দ খলিফা উসমান (রা) শাহাদাতবরণ করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর হযরত আলী (রা) ইসলামের চতুর্থ খলিফা নির্বাচিত হন।


পিতা মাতা


জন্ম

৬০০ খ্রিষ্টাব্দ বিখ্যাত কুরাইশ বংশের হাশেমী নামক গোত্রে আলী (রা) জন্মগ্রহণ করেন।


মৃত্যু

৬৬১ খ্রিষ্টাব্দ খারেজী মুলজামের ছুরির আঘাতে আলী (রা) গুরুতর আহত হন। তিনদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে তিনি শাহাদাতবরণ করেন।


বিবাহ


সন্তান-সন্ততি


ইসলাম গ্রহণ


যুদ্ধে অংশগ্রহণ


কর্মজীবন


অন্যান্য তথ্য

১. হযরত আলী (রা) ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
২. তাঁর মাতার নাম ফাতিমা। পিতার নাম আবু তালিব।
৩. তিনি আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর চাচাত ভাই।
৪. হযরত আলী (রা) মাত্র আট বছর বয়সে ইসলাম কবুল করেন।
৫. তাঁর তিনটি উপাধি ছিল প্রধান। 'আসাদুল্লাহ' মানে আল্লাহর বিজয়ী সিংহ, 'হায়দার' মানে প্রচণ্ড আক্রমণকারী সিংহ, আর 'মুরতাজা' মানে আল্লাহ যার প্রতি খুবই সন্তুষ্ট। তাঁর অন্য একটি উপাধি 'শেরে-এ- খোদা'। এর অর্থ খোদার বাঘ।
৬. তিনি নবীজীর প্রিয় কন্যা হযরত ফাতিমা (রা)-কে বিয়ে করেন।
৭. ফাতিমা (রা)-এর দুই পুত্র ছিল। তাঁদের একজনের নাম হযরত হাসান (রা) ও অন্যজনের নাম হযরত হোসেন (রা)।
৮. মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) যে রাতে হিজরত করেন সে রাতে নবীজীর বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন হযরত আলী (রা)।

০৯. আলী (রা) কৃষিকাজ করে জীবিকা উপার্জন করতেন।
১০. আলী (রা) হযরত উমর (রা)-কে হিজরি সন চালু করার ব্যাপারে পরামর্শ দেন।
১১. আলী (রা) তাবুক অভিযান ছাড়া সবকটি জিহাদে মহানবী (সা)-এর সাথে অংশ গ্রহণ করেন।
১২. বদরের যুদ্ধে প্রথম বিধর্মী ওয়ালিদ হযরত আলী (রা)-এর হাতে নিহত হয়।
১৩. তাবুক অভিযানের সময় নবীজীর পরিবারকে দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করেন হযরত আলী (রা)।
১৪. আলী (রা) মুহাম্মদ (সা)-এর ইন্তেকালের পর তাঁর দেহ নিজ হাতে ধৌত করেন এবং তাঁর গায়ে সুগন্ধি মেখে দেন।
১৫. ভয়াবহ ওহোদ যুদ্ধে আট জন অবিশ্বাসী কাফের পতাকাধারী হযরত আলী (রা)-এর হাতে নিহত হয়।

১৬. আলী (রা)-এর খেলাফতের সময়ে অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য ঘটনার সূত্রপাত হয়। এর কয়েকটি হলো, ক। উসমান (রা) হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের দাবি জোরালো হয়। খ। বনু উমাইয়া এবং বনু হাশিম গোত্রের বিবাদ তীব্রতা লাভ করে। গ। হযরত উসমান (রা)-এর আমলের গভর্ণরদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ঘ। মুয়াবিয়াকে তার ক্ষমতা হতে অপসারিত করেন আলী (রা)। ঙ। আলী (রা) ও নবী পত্নী আয়েশা (রা)-এর মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। চ। আলী (রা)- এর সাথে জুবায়ের ও তালহার বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। ছ। আলী (রা) ও মুয়াবিয়ার সাথে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জ। আলী (রা) ও খারেজীর মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ঝ। আলী (রা)-এর সাথে আকিল ও আবদুল্লাহ বিন আব্বাসের সম্পর্কছেদ ঘটে।

১৭. ৪০ হিজরি সনে আলী (রা) শাহাদাতবরণ করেন।
১৮. আলী (রা) ইরাকের কুফায় খেলাফতের রাজধানী স্থাপন করেন।
১৯. আলী (রা)-এর সময় গৃহবিবাদে ১,৩০০ মুসলমান শহীদ হন।
২০. আলী (রা) মুয়াবিয়ার স্থলে আবদুল্লাহ বিন আব্বাসকে শামের গভর্ণর নিযুক্ত করেন।
২১. জামালের যুদ্ধে আলী (রা)-এর প্রায় এক হাজার সৈন্য শহীদ হয়। সেই যুদ্ধে আলী (রা)-এর সৈন্যসংখ্যা ছিল ২০ হাজার।
২২. সিফফিনের যুদ্ধে হযরত আলী ও মুয়াবিয়া মুখোমুখি অবতীর্ণ হন। আলী (রা)-এর সৈন্যসংখ্যা ছিল ৯০ হাজার।
২৩. আলী (রা)-এর নামাযে জানাযা পড়ান তদীয় পুত্র হাসান (রা)।
২৪. শাহাদাতবরণের সময় আলী (রা)-এর বয়স ছিল ৬৩ বছর।
২৫. আলী (রা)-কে বলা হতো 'আসাদুল্লাহ আল গালিব' অর্থাৎ আল্লাহর সিংহ।
২৬. বদর যুদ্ধে মুসলমানদের পতাকা বহন করেন হযরত আলী (রা)।
২৭. হযরত আলী (রা) পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম জেলখানা স্থাপন করেন।
২৮. আলী (রা)-এর তরবারির নাম ছিল 'জুলফিকার'।


এক নজরে হযরত আলী (রা)

৬০০ খ্রিষ্টাব্দ  বিখ্যাত কুরাইশ বংশের হাশেমী নামক গোত্রে আলী (রা) জন্মগ্রহণ করেন।
৬০৮ খ্রিষ্টাব্দ  কম বয়সে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আলী (রা)। তিনি মাত্র আট বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ  ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে আলী (রা) অংশগ্রহণ করেন। তিনি এ যুদ্ধে এমন বীরত্ব প্রদর্শন করেন যে, তাঁর একার হাতেই ২৩ জন কাফের প্রাণ হারায়।
৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ  মহানবী (সা)-এর প্রিয় কন্যা হযরত ফাতিমা (রা)-এর সাথে আলী (রা)-এর শুভবিবাহ সম্পন্ন হয়।
৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ  ওহোদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধেও আলী (রা) বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন।
৬২৭ খ্রিষ্টাব্দ  হযরত আলী (রা) খন্দকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বীরত্বের প্রমাণ দেন।
৬২৮ খ্রিষ্টাব্দ  ঐতিহাসিক হুদায়বিয়ার সন্ধি স্থাপিত হয়। তিনি সন্ধিপত্রের সম্মানিত লেখক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দ  মক্কা বিজিত হয়। মক্কা বিজয়ের সময় হযরত আলী (রা) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ইসলামের পতাকা হাতে রাসূল (সা)-এর নির্দেশে সসৈন্যে মক্কা নগরে প্রবেশ করেন। একই সালে ঐতিহাসিক হুনাইনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধে কাফেরদের আক্রমণে মুসলিম বাহিনী যখন ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে তখন আলী (রা) বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে মুসলিম বাহিনীকে বিজয়ের মালা এনে দেন।
৬৩১ খ্রিষ্টাব্দ  তাবুক অভিযান পরিচালিত হয়। এতেও আলী (রা) অংশগ্রহণ করেন।
৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ  বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ হজে আলী (রা) অংশ নেন।
৬৩৩ খ্রিষ্টাব্দ  রাসূল (সা) ইহলোক ত্যাগ করেন। হযরত আলী (রা) মহানবী (সা)-কে নিজ হাতে গোসল করান এবং তাঁর দেহে সুগন্ধি মেখে দেন। রাসুল (সা)-এর ইন্তেকালের পর হযরত আবু বকর (রা) ইসলামের প্রথম খলিফা নির্বাচিত হন। তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা দান করেন হযরত আলী (রা)। আবু বকর (রা) তাঁর শাসনামলে একটি ফতোয়া পরিষদ গঠন করেন। হযরত আলী (রা) এ পরিষদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দ  হযরত উমর (রা) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা নির্বাচিত হন। হযরত উমর (রা) হযরত আলী (রা)-কে তাঁর পরামর্শদাতা নিয়োগ দান করেন।
৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ  হযরত উসমান (রা) তৃতীয় খলিফা হিসেবে খেলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁকেও সার্বিক সহযোগিতা দান করেন হযরত আলী (রা)।
৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দ  খলিফা উসমান (রা) শাহাদাতবরণ করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর হযরত আলী (রা) ইসলামের চতুর্থ খলিফা নির্বাচিত হন।
৬৫৭ খ্রিষ্টাব্দ  ইসলামী রাষ্ট্রের রাজধানী ছিল মদীনায়। হযরত আলী (রা) মদীনা হতে ইসলামী রাষ্ট্রের রাজধানী ইরাকের কুফা নগরীতে স্থানান্তর করেন
৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দ  হযরত আলী ও মুয়াবিয়ার মধ্যে বিরোধ তৈরী হলে আপস করার জন্য দু'বার মীমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় 'খারেজী' নামক দলের উদ্ভব হয়।
৬৫৯ খ্রিষ্টাব্দ  ঐতিহাসিক নাহরাওয়ানের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
৬৬১ খ্রিষ্টাব্দ  খারেজী মুলজামের ছুরির আঘাতে আলী (রা) গুরুতর আহত হন। তিনদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে তিনি শাহাদাতবরণ করেন।
MCQ Available

There are 6 MCQs available for this topic.

6 MCQ