হজরত উসমান ইবনে আফফান রা.

Rumman Ansari   Software Engineer   2024-05-17 11:26:26   119  Share
Subject Syllabus DetailsSubject Details 4 Questions
☰ TContent
☰Fullscreen

Table of Content:

ভূমিকা

আমীরুল মুমিনীন উসমান বিন আফ্ফান (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু) ইসলামের তৃতীয় খলিফা ছিলেন। তিনি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজনের একজন ছিলেন। তিনি নবী করীম ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জামাতা ছিলেন। নবী করীম ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দুই কন্যাকে বিয়ে করার কারণে তাঁকে যুন নূরাইন (দুই নূরের অধিকারী) উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।


পিতা মাতা

উসমান (রা)-এর মায়ের নাম মা আরওয়া বিনতে কুরাইয়েয। বাবা আফফান ইবনে আবুল আস


জন্ম

মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশের এক গোত্রের নাম উমাইয়া। সে গোত্রে হযরত উসমান (রা) জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি মক্কা মুকাররমায় আমুল ফিলের ছয় বছর পর জন্মগ্রহণ করেন এবং এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে বেড়ে উঠেন। তাঁর বাবা তাঁর শিষ্টাচার, ব্যবহার ও জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে খুবই লক্ষ্য রেখেছেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়া অর্জন করেন। আরবদের প্রচলিত কবিতা, তাদের বংশনামা, সাহিত্য, ইতিহাস এসব বিষয়ে তিনি অধ্যয়ন করেন। তৎকালীন আরবদের শিক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি উল্লেখযোগ্য একজন ছিলেন।


মৃত্যু

তিনি হিজরি তেইশ সালের সোমবার খিলাফত প্রাপ্ত হয়েছেন আর পঁয়ত্রিশ হিজরির শুক্রবার শহীদ হয়েছেন। শনিবার মাগরিব ও ইশার নামাযের মাঝ সময়ে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। তাঁকে যে জমিনে দাফন করা হয়েছে তা তাঁর ক্রয় করা জমিন ছিল। পরে তাঁর এ জমিনকে জান্নাতুল বাকির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


কর্মজীবন

কর্মজীবনে তিনি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন এবং একজন দক্ষ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি নিজেকে এক উত্তম চরিত্রে সুশোভিত করেছেন। তাঁর মাঝে উত্তম গুণাবলির সবগুলো ফুটে উঠেছে। মানুষের কাছে তাঁর আলাদা এক মর্যাদাগত অবস্থান ছিল। ইসলাম আসার পূর্বেও তিনি সকলের সম্মানের পাত্র ছিলেন। তিনি কখনো মূর্তির সামনে সিজদাহ করেননি। তিনি দানশীলতা ও দয়ার কারণে সবার কাছে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁকে মনে হতো তিনি এক পাহাড়, যে পাহাড়ের উপর জ্ঞান রাখা হয়েছে। তিনি একজন বিশ্বস্ত আমানতদার ছিলেন। অগ্রগামীদের সাথে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন, চৌত্রিশজন ইসলাম গ্রহণ করার পর তিনি ইসলাম গ্রহণে পঁয়ত্রিশতম । ইসলাম গ্রহণ করার কারণে তাঁর চাচা তাঁকে বন্দি করে শাস্তি দিয়েছে এবং কঠোর তিরস্কার করেছে। তবুও তিনি ঈমানের ওপর অটল ছিলেন। হিজরতের অনুমতি পাওয়ার পর তিনি দুইবার হিজরত করেন। একবার হাবশায় অতপর মদিনায়।


খেলাফতের দায়িত্বপ্রাপ্ত

ওমর (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু) শক্তি-এর ইন্তিকালের পর তিনি খেলাফতের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। খলিফা হওয়ার পর তিনি ইসলামের ঝাণ্ডাকে উপরে তুলে ধরলেন। তাঁর হাতে আরমেনিয়া বিজয় হয় এবং আফ্রিকায় অভিযান করা হয়। তাঁর আমলেই মুসলমানরা খুরাসানে প্রবেশ করে এবং ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা তিবরিস্তানের কাছে পৌঁছে যায়। তিনি প্রথম মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী প্রশস্ত করেন। জুমার প্রথম আযান দেওয়ার ব্যাপারে তিনিই নির্দেশদিয়েছিলেন। তিনি পুলিশ বাহিনী তৈরি করেছেন এবং বিচারের জন্যে আলাদা কার্যালয় নির্ধারণ করেছেন। তিনি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে পরামর্শদাতা নিয়োগ করেছেন। তাঁর নয়জন ছেলে ছিল আর হুরের মতো সাতজন মেয়ে ছিল। তাঁর খেলাফতের শেষকালে বিদ্রোহ দেখা দেয় ৷ অবশেষে বিদ্রোহীরা তাঁকে হত্যা করে। তিনি শহীদ হয়ে এ দুনিয়া ত্যাগ করেছেন। তাঁর রক্তে কোরআনে কারীম রঞ্জিত হয়েছে। তিনি যখন শহীদ হয়েছেন তখন তিনি রোযাদার ছিলেন। স্বপ্নে রাসূল সা তাঁকে তাঁর সাথে ইফতার করার কথা বলেছেন। আর তাই তিনি সেদিন রোযা রেখেছেন এবং রোযা অবস্থায় শহীদ হয়েছেন। তিনি হিজরি তেইশ সালের সোমবার খিলাফত প্রাপ্ত হয়েছেন আর পঁয়ত্রিশ হিজরির শুক্রবার শহীদ হয়েছেন। শনিবার মাগরিব ও ইশার নামাযের মাঝ সময়ে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। তাঁকে যে জমিনে দাফন করা হয়েছে তা তাঁর ক্রয় করা জমিন ছিল। পরে তাঁর এ জমিনকে জান্নাতুল বাকির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


বিবাহ

তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর-এর কন্যা রুকাইয়া উম্মে কুলছুমকে বিয়ে করেছেন। তাঁর বিয়ে আসমানের অহীর মাধ্যমে হয়েছে। তাঁর জীবন সৌভাগ্য ও পুণ্যতে পরিপূর্ণ ।


সন্তান-সন্ততি


ইসলাম গ্রহণ

অগ্রগামীদের সাথে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন, চৌত্রিশজন ইসলাম গ্রহণ করার পর তিনি ইসলাম গ্রহণে পঁয়ত্রিশতম


যুদ্ধে অংশগ্রহণ


এক নজরে উসমান (রা)

৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ  আরবের বিখ্যাত কুরাইশ বংশের উমাইয়া গোত্রে উসমান (রা) জন্মগ্রহণ করেন।
৬১০ খ্রিস্টাব্দ  হযরত উসমান (রা) ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণ নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যায়।
৬২৫ খ্রিস্টাব্দ  ওহোদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে উসমান (রা) রাসূল (সা)-এর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
৬২৭ খ্রিস্টাব্দ  খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের আগে তিনদিকে পরিখা খনন করা হয়। হযরত উসমান (রা)ও পরিখা খননের কাজে অংশ নেন।
৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ  খলিফা হযরত উমর (রা)-এর ইন্তেকাল করেন। তারপর হযরত উসমান (রা) খলিফা নির্বাচিত হন।
৬৪৫ খ্রিস্টাব্দ  খলিফার নির্দেশে মুসলিম বাহিনী মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া দখল করে নেয়।
৬৪৭ খ্রিস্টাব্দ  রোমানদের সাথে আমীর মুয়াবিয়ার নেতৃত্বে মুসলমানদের লড়াই সংঘটিত হয়। মুসলমানরা আরমেনিয়া ও তাজিকিস্তান দখল করে নেয়।
৬৫১ খ্রিস্টাব্দ  পারস্য সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। মুসলমান সেনারা কিরমান, মাকরান, সিজিস্তান, হিরাট, কাবুল, গজনী দখল করে নেয়।
৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ  ১৮ জিলহজ 'তুজিবী' নামক ঘাতকের হাতে হযরত উসমান (রা) শাহাদাতবরণ করেন। তখন উসমান (রা) আল-কুরআন তেলোয়াত করছিলেন।

MCQ Available

There are 12 MCQs available for this topic.

12 MCQTake Quiz