রাজশেখর বসু
☰Fullscreen
ভূমিকা: সাহিত্যিক রাজশেখর বসু 'পরশুরাম' ছদ্মনামেই বেশি পরিচিত। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হাস্যরসিক গল্পকার, পরিভাষা ও অভিধান রচয়িতা, রসায়নবিদ এবং অনুবাদক হিসেবে পাতি অর্জন করেন রাজশেখর বসু।
জন্ম ও শৈশব: ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চ বর্ধমান জেলার সেই গান। শক্তিগড়ের কাছে বামুনপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে রাজশেখর বসুর জন্ম হয়। পণ্ডিত চন্দ্রশেখর বসু এবং লক্ষ্মীমণি দেবীর দ্বিতীয় সন্তান গান' আর মুঙ্গের, খড়গপুর এবং বাংলা দেশের বাইরে ঘুরে তাঁর ছেলেবেলা ছিলেন তিনি। তাঁর ছেলেবেলার অনেকটা সময়ই দ্বারভাঙ্গায় কাটে। কতার মুক্তি মনোভাবে কেটেছে। -আলোচনা এবিশ্লেষণ। শিক্ষাজীবন: ১৮৮৫ থেকে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দ্বারভাঙ্গার রাজ স্কুলে পড়াশোনা করে এনট্রান্স পাস করেন। ১৮৯৫-১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাটনা কলেজে পড়েন। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স-সহ বিএ পাস করেন। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এমএ পরীক্ষা দেন এবং প্রথম স্থান অধিকার করেন। কর্মজীবন: বিজ্ঞানচর্চার প্রতি ভালোবাসা থেকেই রাজশেখর বসু ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে প্রফুল্লচন্দ্র সেন প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। খুব অল্প মাইনেতে কাজ শুরু করলেও ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে নিজের দক্ষতায় তিনি কোম্পানির পরিচালক হয়ে ওঠেন। একদিকে গবেষণার কাজ, অন্যদিকে ব্যাবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকেই তিনি অবসর গ্রহণ করেন এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ডিরেক্টর রূপে এই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকেন।
সাহিত্যজীবন: ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে রাজশেখর বসুর লেখালিখির শুরু। ১৯২২-এ পরশুরাম ছদ্মনামে 'শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড' নামে এক ব্যঙ্গ রচনা প্রকাশ হওয়ার পরই তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে-লঘুগুরু, বিচিন্তা, ভারতের খনিজ, কুটির শিল্প প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থ, কালিদাসের মেঘদূত, বাল্মীকি রামায়ণ, ব্যাসের মহাভারত, গীতা প্রভৃতির অনুবাদ এবং চলন্তিকা নামক অভিধান। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ হল- গড্ডলিকা, কজ্জলী, হনুমানের স্বপ্ন, ধুস্তরী মায়া প্রভৃতি।
সাহিত্যরীতি: গল্প বলার ঢংয়ে কাহিনিকে ফুটিয়ে তোলা, চরিত্রের নিপুণ বিবরণে তাকে জীবন্ত করে তোলা তাঁর পরিচিত সাহিত্যরীতি। উদ্ভট ঘটনা এবং কল্পনা শক্তির মিশেলে তাঁর সৃষ্ট সাহিত্য হয়ে উঠেছে অনন্য। বুদ্ধিদীপ্ত হাস্যরসের সাহায্যে ব্যঙ্গ-কৌতুক রচনায় তাঁর দক্ষতা লক্ষণীয়।
সম্মাননা: রাজশেখর বসু ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানান সংস্কার সমিতি ও ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিভাষা সংস্কারের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার রাজশেখর বসুকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করেন।
জীবনাবসান: ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজশেখর বসু পরলোকগমন করেন।
জন্ম ও শৈশব: ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চ বর্ধমান জেলার সেই গান। শক্তিগড়ের কাছে বামুনপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে রাজশেখর বসুর জন্ম হয়। পণ্ডিত চন্দ্রশেখর বসু এবং লক্ষ্মীমণি দেবীর দ্বিতীয় সন্তান গান' আর মুঙ্গের, খড়গপুর এবং বাংলা দেশের বাইরে ঘুরে তাঁর ছেলেবেলা ছিলেন তিনি। তাঁর ছেলেবেলার অনেকটা সময়ই দ্বারভাঙ্গায় কাটে। কতার মুক্তি মনোভাবে কেটেছে। -আলোচনা এবিশ্লেষণ। শিক্ষাজীবন: ১৮৮৫ থেকে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দ্বারভাঙ্গার রাজ স্কুলে পড়াশোনা করে এনট্রান্স পাস করেন। ১৮৯৫-১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাটনা কলেজে পড়েন। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স-সহ বিএ পাস করেন। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এমএ পরীক্ষা দেন এবং প্রথম স্থান অধিকার করেন। কর্মজীবন: বিজ্ঞানচর্চার প্রতি ভালোবাসা থেকেই রাজশেখর বসু ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে প্রফুল্লচন্দ্র সেন প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। খুব অল্প মাইনেতে কাজ শুরু করলেও ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে নিজের দক্ষতায় তিনি কোম্পানির পরিচালক হয়ে ওঠেন। একদিকে গবেষণার কাজ, অন্যদিকে ব্যাবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকেই তিনি অবসর গ্রহণ করেন এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ডিরেক্টর রূপে এই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকেন।
সাহিত্যজীবন: ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে রাজশেখর বসুর লেখালিখির শুরু। ১৯২২-এ পরশুরাম ছদ্মনামে 'শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড' নামে এক ব্যঙ্গ রচনা প্রকাশ হওয়ার পরই তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে-লঘুগুরু, বিচিন্তা, ভারতের খনিজ, কুটির শিল্প প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থ, কালিদাসের মেঘদূত, বাল্মীকি রামায়ণ, ব্যাসের মহাভারত, গীতা প্রভৃতির অনুবাদ এবং চলন্তিকা নামক অভিধান। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ হল- গড্ডলিকা, কজ্জলী, হনুমানের স্বপ্ন, ধুস্তরী মায়া প্রভৃতি।
সাহিত্যরীতি: গল্প বলার ঢংয়ে কাহিনিকে ফুটিয়ে তোলা, চরিত্রের নিপুণ বিবরণে তাকে জীবন্ত করে তোলা তাঁর পরিচিত সাহিত্যরীতি। উদ্ভট ঘটনা এবং কল্পনা শক্তির মিশেলে তাঁর সৃষ্ট সাহিত্য হয়ে উঠেছে অনন্য। বুদ্ধিদীপ্ত হাস্যরসের সাহায্যে ব্যঙ্গ-কৌতুক রচনায় তাঁর দক্ষতা লক্ষণীয়।
সম্মাননা: রাজশেখর বসু ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানান সংস্কার সমিতি ও ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিভাষা সংস্কারের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার রাজশেখর বসুকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করেন।
জীবনাবসান: ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজশেখর বসু পরলোকগমন করেন।
No Questions Data Available.
No Program Data.