সুবোধ ঘোষ

Rumman Ansari   Software Engineer   2024-04-15 11:40:19   124  Share
Subject Syllabus DetailsSubject Details
☰ TContent
☰Fullscreen
ভূমিকা: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ এক নাকে) স্মরণীয় নাম। সাহিত্য জগতে তাঁর অনুপ্রবেশ ঘটেছিল বেশ কিছুটা নিয়ে দেরিতে। তিনি তাঁর মেধাশক্তি, চিন্তাচেতনা এবং অভিজ্ঞতার দ্বারা বাংলা সাহিত্যকে বিভিন্ন কালজয়ী রচনার মধ্য দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন।
জন্ম ও শৈশব: বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ১৪ সেপ্টেম্বর বিহারের হাজারিবাগে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আদি বাড়ি। ছিল বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বহর গ্রামে।
শিক্ষাজীবন: সুবোধ ঘোষ হাজারিবাগের সেন্ট কলম্বাস কলেজের ছাত্র ছিলেন। বিশিষ্ট দার্শনিক ও গবেষক মহেশ ঘোষের লাইব্রেরিতে তিনি পড়াশোনা করতেন। প্রত্নতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব, এমনকি সামরিকবিদ্যায় তাঁর যথেষ্ট দক্ষতা ছিল।
কর্মজীবন ও সাহিত্যজীবন: সুবোধ ঘোষের কর্মজীবন শুরু হয় বিহারের আদিবাসী অঞ্চলে বাসের কনডাক্টর হিসেবে। এরপর সার্কাসের ক্লাউন, মুম্বাই পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণির কাজ, চায়ের ব্যাবসা, বেকারির ব্যাবসা, মালগুদামের স্টোরকিপার প্রভৃতি কাজে তিনি তাঁর জীবনের বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করেন। বহু পথ ঘুরে তিরিশের দশকের শেষে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় বিভাগে সহকারী হিসেবে যোগ দেন। তাঁর লেখালেখির সময়কাল ১৯৪০ থেকে ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দ। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট দাঙ্গাবিধ্বস্ত নোয়াখালিতে গান্ধিজির সহচর হিসেবে তিনি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন। দাঙ্গা এবং দাঙ্গা-পরবর্তী সময়ের সাম্প্রদায়িকতা, হিংস্রতা তাঁকে প্রভাবিত করেছিল। সুবোধ ঘোষের প্রথম গল্প 'অযান্ত্রিক'। তাঁর আর-একটি বিখ্যাত গল্প 'থির বিজুরি'। শুধু গল্পকার হিসেবে নয়, ঔপন্যাসিক হিসেবেও তিনি প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর লেখা একটি অন্যতম উপন্যাস হল তিলাঞ্জলি (১৯৪৪)। কংগ্রেস সাহিত্যসংঘের মতাদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর এই উপন্যাসে। বিচিত্র জীবিকার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাঁর কর্মজীবন। আনন্দবাজার পত্রিকা-র সহকারী হিসেবে তিনি যোগ দেন। ক্রমে সেখানকার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর এবং তারপর অন্যতম সম্পাদকীয় লেখক হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হল-'ভারত প্রেমকথা' (মহাভারতের গল্প অবলম্বনে রচিত), 'গঙ্গোত্রী' (১৯৪৭), 'ত্রিযামা' (১৯৫০), 'ভালবাসার গল্প', 'শতকিয়া' (১৯৫৮) প্রভৃতি। এ ছাড়াও তাঁর কয়েকটি গল্পসংকলন হল-'ফসিল', 'পরশুরামের কুঠার', 'জতুগৃহ'।
পুরস্কার: সুবোধ ঘোষ তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য আনন্দ পুরস্কার এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক পান।
জীবনাবসান: ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ১০ মার্চ এই বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক মারা যান।

No Questions Data Available.
No Program Data.