ইবলিস কে নিয়ে ৫নং শিক্ষা
Table of Content:
৫নং শিক্ষা: আল্লাহ ইবলিসকে বুঝার সুযোগ দিয়ে ছিলেন যে, তুই ভুল করেছিস। তোর আত্মপক্ষ সমর্থন করে কোন কথা বলবার থাকলে বল। যেমন আদম (আঃ) ও হাওয়া বিবিকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলার থাকলে বলতে বলেছিলেন। এই সুযোগ না দিলে ইবলিস পরকালে আল্লাহকে বলতো যে আল্লাহ আমি তো নাফরমান ছিলাম না কিন্তু তোমার একটি হুকুম কেন মানলাম না, তা তো তুমি আমাকে জিজ্ঞেসা করলে না। জিজ্ঞেস করলে তো আমি বলতে পারতাম কোন যুক্তিতে আমি আদম (আঃ) কে সিজদা করিনি।
আদম (আঃ) আত্মপক্ষ সমর্থন করে এমন কিছু যুক্তি অবশ্যই দিতে পারতেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য বলতে পরতেন যে, আল্লাহ তুমি শয়তানকে আমার কাছে আসতে দিলে কেন। আসতে না দিয়ে তুমি অবশ্যই আমাকে রক্ষা করতে পারতে। তা কেন করলে না। নিজেকে নির্দোষ করার জন্য এরূপ আরো কিছু কথা বলতে পারতেন কিন্তু তিনি কোন কিছু না বলে মনে মনে চিন্তা করে দেখলেন আল্লাহর নিষেধ আমি অমান্য করেছি এটাই আমার অন্যায়।
তাই সোজাসুজি কোন কৈফিয়ত না দিয়েই নিজের অপরাধ স্বীকার করে আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেন। এরূপ ইবলিসও কোন কৈফিয়ত ছাড়াই আল্লাহকে বলতে পারতো যে আল্লাহ তোমার হুকুম অমান্য করে আমি অন্যায় করেছি আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ কর। তাহলে ইবলিসকে অবশ্যই শয়তান হতে হতো না। কিন্তু তা না করে ইবলিস এমন প্রশ্ন তুললো যে সে আল্লাহকেই দুষি করে ফেললো এই কথা বলে যে আল্লাহ তুমি জান যে আমি আগুন থেকে সৃষ্টি হওয়ার কারণে এবং আদম (আঃ) মাটি থেকে সৃষ্টি হওয়ার কারণে আমি আদমের চাইতে শ্রেষ্ঠ। এটা জানার পরও কেন আমাকে এই অপমান কর (?) কাজের হুকুম দিলে যে, আমার চাইতে নিম্ন মানের তাকে সিজদা করতে তুমি হুকুম দিলে?
এর থেকে বুঝা গেল দুনিয়াতে এমন বহু লোক আছে যারা অপরাধ করলে তাকে অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে সে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য নানান প্রকার কুযুক্তির অবতারণা করে, কিন্তু নিজের দোষ কিছুতেই স্বীকার করবে না। তাদের এই কাজকে আদম (আঃ)-এর এবং ইবলিসের কাজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে দেখা যাবে তার কুযুক্তি হুবহু ইবলিসের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। তখন তাকে ধরে নিতে হবে এ ব্যক্তি ইবলিস স্বভাবের। কাজেই এর পরকাল ইবলিসের সঙ্গে হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।