ইবলিস কে নিয়ে ১ নং শিক্ষা
Table of Content:
১ নং শিক্ষা: আল্লাহ এতবড় কুদরতের মালিক যে তিনি দুনিয়ার প্রত্যেকটি মানুষ একদিকে যেমন একই গঠনের সৃষ্টি করেছেন তেমন তারা একজন থেকে অপর জনকে পৃথক ভাবে চিনতে পারে সেজন্য আদম (আঃ) থেকে এ পর্যন্ত যত মানুষ আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এবং করবেন তাদের প্রত্যেকের চেহারা ভিন্ন ভিন্ন সুরতের করেছেন যেন তাদের চেনা যায়। একথাটা বলতে ও শুনতে যত সহজ, কাজে পরিণত করা তত সহজ নয়, দুনিয়ার মানুষ হাতে বা মেসিনে বহু কিছু তৈরী করে কিন্তু একই জিনিসকে কি দুটাকে দুই প্রকার সুরাতে সৃষ্টি করতে পারে?
আজ পর্যন্ত এর নমুনা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। অথচ পরস্পরকে ভিন্ন ভিন্নভাবে চেনার জন্যে যেমন আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষের চেহারার মধ্যে করেছেন পার্থক্য তেমন মানুষের গলার আওয়াজের মধ্যেও করেছেন পার্থক্য যেন মানুষটা না দেখেও তার গলার আওয়াজে চেনা যায় যে কে কথা বলছে। যদি আল্লাহ গলার আওয়াজে তারতম্য সৃষ্টি না করতেন তাহলে বাড়ীর গৃহিনীরা পড়তেন এক চরম বিপদে। রাত্রিবেলা যখন কেউ এসে বলত যে দরোজা খুলে দাও তখন 'গলার আওয়াজের মধ্যে বিভিন্নতা না থাকলে বাড়ীর লোকেরা বুঝতে পারতো না কে এসে ডাকছে। ফলে ডাকাত ঘরে ঢুকে যেত কেউ তা রোধ করতে পরতো না। ঠিক তদ্রুপ চেহারা সুরাত সবাইয়ের এক প্রকার হলে যেমন মা চেনা কষ্টকর হতো, তেমন ছেলে চেনাও সম্ভব হতো না, কে নিজের স্বামী আর কে নিজের স্ত্রী তাও মানুষ চিনতে পারতো না। আল্লাহ তাঁর এই তুলনাহীন কুদরাতের কথা স্বরণ করিয়ে দিয়েই পরবর্তি কথাগুলো বলেছেন, যেন মানুষের মন তা সহজেই অনুধাবণ করতে পারে।