ঈদুল আজহা বা কুরবানী
Table of Content:
‘যিলহজ্ব, হজ্ব ও কুরবানী’ শিরোনামে একটি বিশদ লেখা আলকাউসারের যিলকদ-যিলহজ্ব ’২৮ = ডিসেম্বর ’০৭ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করে এ সংখ্যায় কুরবানী অংশটুকু কিছুটা সংক্ষিপ্ত আকারে পুনরায় পত্রস্থ হল। আশা করি পাঠক এ থেকে উপকৃত হবেন, ইনশাআল্লাহ।
কুরবানী ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান ও বিশেষ ইবাদত। এটা আদম আ.-এর যুগ থেকে বিদ্যমান ছিল। সূরা মাইদায় (আয়াত ২৭-৩১) আদম আ.-এর দু’সন্তানের কুরবানীর কথা এসেছে। তবে প্রত্যেক নবীর শরীয়তে কুরবানীর পন্থা এক ছিল না। ইসলামী শরীয়তে কুরবানীর যে পদ্ধতি নির্দেশিত হয়েছে তার মূল সূত্র ‘মিল্লাতে ইবরাহীমী’তে বিদ্যমান ছিল। কুরআন মজীদ ও সহীহ হাদীস থেকে তা স্পষ্ট জানা যায়। এজন্য কুরবানীকে ‘সুন্নতে ইবরাহীমী’ নামে অভিহিত করা হয়।
ফার্সী, উর্দু ও বাংলা ভাষায় ‘কুরবানী’ শব্দটি আরবী ‘কুরবান’ শব্দের স্থলে ব্যবহৃত হয়। ‘কুরবান’ শব্দটি
মূলধাতু (যার অর্থ হচ্ছে, নৈকট্য) থেকে নির্গত। তাই আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের জন্য শরীয়তসম্মত পন্থায় বান্দা যে আমল করে তাকে আভিধানিক দিক থেকে তাকে ‘কুরবান’ বলা যেতে পারে। তবে শরীয়তের পরিভাষায় ‘কুরবান’ শব্দের মর্ম তা-ই যা উপরে উল্লেখিত হয়েছে।
কুরবানী উনার পশুর ৮টি অংশ খাওয়া নিষেধ
পবিত্র কুরবানী পশুর গোশত খাওয়া হালাল ও সুন্নত। তারপরও ওই পশুর ৮টি অংশ খাওয়া নিষেধ।
আর উহা হলো-
দমে মাছফুহা বা যবেহ করার সময় প্রবাহিত রক্ত।
অন্ডকোষ।
মূত্রনালী।
পিত্ত।
লিঙ্গ।
গুহ্যদ্বার।
গদুদ বা গুটলী মাকরূহে তাহরীমা।
শিরদাড়ার ভিতরের মগজ, এটা কেউ মাকরুহ তাহরীমা কেউ আবার মাকরুহে তানযিহী বলেছেন। তাই সকলকে উপরোক্ত হারাম ও মাকরূহ বিষয় থেকে পরহেয থাকতে হবে।