রাসূল (সাঃ) ইন্তেকাল
Table of Content:
মহানবী হযরত (সাঃ) এর অন্তিম অসুখ ও ওফাৎ
একাদশ হিজরী সনের ২৮শে সফর রোজ বুধবার দিবাগত রাত্রে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) "বাকী গারকাদ” নামক কবরস্থানে গমন পূর্বক কবরবাসীদের উদ্দেশ্যে দোয়ায়ে মাগফেরাত কামনা করে বললেন যে, হে কবরবাসীগণ! তোমাদের বর্তমান অবস্থা এবং কবরের অবস্থান শুভ হউক।
কেননা এখন পৃথিবীতে ফেতনার অন্ধকার ছড়িয়ে পড়েবে। সেখান থেকে তিনি প্রত্যাবর্তনের পর মাথা মোবারকে ব্যথা অনুভব করলেন। এবং সাথে সাথে জ্বরও এসে পড়ল (১)। সহীহ্ বর্ণনা মতে এ জ্বর ১৩ দিন ধারাবাহিক ছিল।। এ রোগেরই তাঁর ওফাৎ (২) হয়। এ সময় তিনি তাঁর নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক দিবসে পবিত্রা রমনীগণের হুজরায় স্থানান্তর হতে থাকেন। যখন তার অসুখ দীর্ঘ ও কঠিন আকার ধারণ করল, তখন পবিত্রা রমণীগণের নিকট হতে এ অনুমতি নিলেন যে, অসুখের দিন গুলিকে আমি আয়েশা (রাঃ-আনহা) এর গৃহে অবস্থান করব। তাতে সকলেই অনুমতি দিয়ে দেন।
সিদ্দিকে আকবর (রাঃ) এর ইমামতি
আস্তে আস্তে অসুখ এত বাড়ল যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মসজিদেও তাশরীফ নিতে পারেন না। তখন বললেন, "আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) কে যেন বল ইমামতি করতে"। ঘটনাক্রমে একদিন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) ও হযরত আব্বাস (রাঃ) আনসারদের এক মজলিসের পার্শ্ব দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। তখন তারা দেখতে পেলেন লোকেরা কাঁদছে। কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বললেন, "মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মজলিসের কথা মনে করে কাঁদছে। হযরত আব্বসা (রাঃ) এই খবরটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট জানালেন। তিনি এ সংবাদ শুনতে পেয়ে হযরত আলী এবং হযরত ফযল (রাঃ) এর কাঁধে ভর করে বাইরে গমন করলেন। হযরত আব্বাস (রাঃ) তাঁর আগে আগে ছিলেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মিম্বরে আরোহন করলেন কিন্তু শরীর দুর্বলতার কারণে নীচের সিঁড়িতেই বসে পড়লেন; উপরে উঠতে পারলেন না। তারপরে তিনি এক অলংকার পূর্ণ ভাষণ দান করলেন। নিম্নে তা প্রদত্ত হল।
পার্শ্বটিকা: (১) সীরাতে ইবনে হিশাম, ২/৪। ২। ফতহুল বারী হিন্দী, ১৮ পারা, পৃষ্ঠা ৯৮।