ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

Rumman Ansari   Software Engineer   2023-12-04 05:40:56   32 Share
Subject Syllabus DetailsSubject Details
☰ Table of Contents

Table of Content:


ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ভূমিকা:

ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতার নাম ভগবতী দেবী। তার আসল নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।

শিক্ষাজীবন:

চার বছর নয় মাস বয়সে ঠাকুরদাস বালক ঈশ্বরচন্দ্রকে গ্রামের সনাতন বিশ্বাসের পাঠশালায় ভর্তি করেন। ১৮২৮ সালের নভেম্বর মাসে পাঠশালার শিক্ষা সমাপ্ত করে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পিতার সঙ্গে কলকাতায় আসেন। পায়ে হেঁটে মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় আসার সময় পথের ধারে মাইল ফলকে ইংরেজি সংখ্যা গুলি দেখে তিনি সেগুলি সহজেই আয়ত্ত করেন। ১৮২৯ সালে কলকাতা গভর্নমেন্ট সংস্কৃত কলেজে ব্যাকরণে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৮৩৬ সালে অলংকার পাঠ শেষ করেন। ১৮৩৭ সালে তিনি স্মৃতি শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৮৩৯ সালে হিন্দু ল’ কমিটির পরীক্ষা দেন ঈশ্বরচন্দ্র। ১৮৪১ সালের ডিসেম্বর মাসে কলেজের অধ্যাপকগন ঈশ্বরচন্দ্রকে বিদ্যাসাগর নামে অভিহিত করেন।

কর্মজীবন:

১৮৪১ সালে সংস্কৃত কলেজে শিক্ষা সমাপ্ত হবার পর সেই বছরই মাত্র ২১ বছর বয়সে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের সেরেস্তাদার ও প্রধান পন্ডিতের পদে যোগ দেন। বেতন ছিল মাসে ৫০ টাকা। ১৮৪৬ সালের ৬ই এপ্রিল একই বেতন হারে সংস্কৃত কলেজের সহকারি সম্পাদকের ভার গ্রহণ করেন। তখন তার বয়স ২৫ বছর। পরবর্তীতে ফোর্ট উইলিয়ামের কাজে ইস্তফা দিয়ে সংস্কৃত কলেজে সাহিত্যের অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করেন। অন্যদিকে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক ও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষার প্রচলন ,বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের মত সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তার অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরণীয়।

উল্লেখযোগ্য রচনাবলী:

তার উল্লেখযোগ্য রচনাবলী গুলি হল বর্ণপরিচয় ,কথামালা ,বোধোদয়, আখ্যান মঞ্জুরী, ব্যাকরণ কৌমুদি, বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা ইত্যাদি।

শেষ জীবন:

১৮৭৫ সালের ৩১ শে মে নিজের উইল প্রস্তুত করেন বিদ্যাসাগর মহাশয়। ১৮৯০ সালে বীরসিংহ গ্রামে মায়ের নামে ভগবতী স্কুল স্থাপন করেন। ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই কলকাতার বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তার কৃতকর্মের জন্য তিনি চিরদিন আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।