খ্রিস্টপূর্বাব্দ ও খ্রিস্টাব্দ

Rumman Ansari   Software Engineer   2023-11-24 03:56:43   37 Share
Subject Syllabus DetailsSubject Details 1 Questions
☰ Table of Contents

Table of Content:


খ্রিস্টপূর্বাব্দ (BC) ও খ্রিস্টাব্দ (AD)

যিশু খ্রিস্টের জন্মকে ধরে যে অব্দ বা সাল গোনা হয় তা হলো খ্রিস্টাব্দ (খ্রিস্ট + অব্দ)। খ্রিস্টাব্দ অনুসারেই সাধারণভাবে ইতিহাসের সাল-তারিখ হিসাব করা হয়।

যিশুর জন্মের আগের সময়কে বলা হয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ। পূর্ব মানে এখানে আগের। তাহলে খ্রিস্টপূর্বাব্দ মানে হলো খ্রিস্টের জন্মের আগের অব্দ গণনা [খ্রিস্ট + পূর্ব (আগের) + অব্দ (সাল গণনা)]।

মজার ব্যাপার হলো, খ্রিস্টপূর্বাব্দ বড়ো থেকে ছোটোর দিকে গোনা হয়। মানে সেখানে ৫,৪,৩,২,১ এভাবে গোনা হয়। আর খ্রিস্টাব্দ গোনা হয় ছোটো থেকে বড়োর দিকে। যেমন ১,২,৩,৪,৫। তাই ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের আগের বছর হবে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ। পরের বছর হবে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ। আর খ্রিস্টপূর্বাব্দ হলে উলটো হবে। ২০১৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আগের বছর হবে ২০১৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। পরের বছর হবে ২০১৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।

এখানে আর একটা মজার ব্যাপার আছে। খ্রিস্টীয় শতক গোনার সময় দেখবে একধাপ করে এগিয়ে গোনা হয়। যেমন ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ। এটা কিন্তু খ্রিস্টীয় ঊনবিংশ শতক নয়, খ্রিস্টীয় বিংশ শতক। কেন? কারণটা খুব সহজ। যিশুর জন্মের থেকে প্রথম ১০০ বছর হলো খ্রিস্টীয় প্রথম শতক। যিশুর জন্মের ১০১ বছর থেকে ২০০ বছর হলো খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতক। তাহলে হিসাবটা হবে এমন

৩০০-২০১ খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক 

২০০-১০১ খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক

১০০-১ খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতক

১-১০০ খ্রিস্টীয় প্রথম শতক

১০১-২০০ খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতক

২০১-৩০০ খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতক

এভাবেই ১৮০১-১৯০০ হলো খ্রিস্টীয় ঊনবিংশ শতক। ১৯০১-২০০০ হলো খ্রিস্টীয় বিংশ (কুড়ি) শতক। আর ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ হলো খ্রিস্টীয় একবিংশ (একুশ) শতক। মনে রেখো প্রথম খ্রিস্টাব্দ মানে যিশু যে বছরে জন্মেছিলেন। আর খ্রিস্টীয় প্রথম শতক মানে যিশুর জন্মের পর থেকে একশো বছর।

সময় গোনার আর একটা হিসাবও দেখা যায়। সেটা হলো একসঙ্গে কয়েকটা বছর ধরে গোনা। ধরো, হাজার বছর একসঙ্গে হলে হয় সহস্রাব্দ (সহস্র (হাজার) + অব্দ)। আবার একশো বছর বোঝাতে শতাব্দ(শত (একশো) + অব্দ) কথাটা ব্যবহার হয়। শতাব্দকে শতাব্দী বা শতকও বলা হয়। দশ বছর একসঙ্গে বোঝাতে দশক কথাটা ব্যবহার হয়। তবে দশাব্দ বলা হয় না।