ইরানের লোকেরা আগুনের দিকে মুখ করে পূজা করত। ইরানের শেষ সম্রাট ইয়াযদাগিদ একবার সূর্যের কসম খেয়ে একথা বলেছিলেন :
“আমি সূর্যের কসম খাচ্ছি যিনি সবচেয়ে বড় উপাস্য।” তিনি সেইসব খৃস্টানকে, যারা খৃস্ট ধর্ম থেকে তওবা করেছিল, বাধ্য করেছিলেন তাদের ধর্মনিষ্ঠা প্রমাণের জন্য সূর্যের পূজা করতে। ইরানের লোকেরা সর্বকালে ও সর্বযুগেই দ্বিত্ববাদের শিকার ছিল অর্থাৎ তারা দুই খোদার অস্তিত্বে বিশ্বাসী ছিল । এমন কি এটাই তাদের আলামত ও পরিচয়জ্ঞাপক চিহ্নে পরিণত হয়। তারা দুই খোদার সমর্থক ছিল। এক খোদা আলোর বা কল্যাণের যাকে তারা আহূরমাযদা বা য়াযদান বলত। দ্বিতীয় খোদা অন্ধকার বা মন্দের যার নাম রেখেছিল তারা আহরিমান । তাদের বিশ্বাস ছিল যে, এই দুই খোদার মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও শক্তি পরীক্ষা আগাগোড়া চলে আসছে।
“ইরানী ধর্মের এসব ঐতিহাসিক তাদের উপাস্য মা'বূদদের সম্পর্কে যেসব কাহিনী লিখেছেন এবং গোটা পৌরাণিক উপাখ্যান তৈরি করেছেন তা তাদের অত্যুদ্ভুত বিস্ময়প্রিয়তা এবং বিস্তারিত ও খুঁটিনাটি বিষয়ে গ্রীক কিংবা ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনী থেকে কোনভাবেই কম নয়।”
[তথ্যসূত্র: নবীয়ে রহমত - সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম - সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী - আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত - পৃষ্ঠা নম্বর: 49]