আযানের হুকুম:
রাসূলুল্লাহ (সা) যখন মদীনার বুকে পরিপূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করলেন এবং ইসলাম দৃঢ়তা ও সুসংহত রূপ লাভ করল তখন সালাতের জন্য মুসলমানদেরকে ডাকার সেই সব পন্থা যা ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের ভেতর প্রচলিত ছিল সেগুলো, যেমন ঘন্টা বাজানো, শিংগায় ফুক দেয়া, আগুনের মশাল জ্বালানো প্রভৃতি অপছন্দ করলেন। তখন পর্যন্ত মুসলমানরা কোনরকম পূর্ব ঘোষণা ও ডাকাডাকি ছাড়াই সালাতের ওয়াক্তে আপনাআপনিই হাজির হয়ে যেতেন। এমনি মুহূর্তে আল্লাহ পাক আযান দ্বারা মুসলমানদেরকে ধন্য ও গৌরবান্বিত করেন এবং স্বপ্নের মাধ্যমে কোন কোন সাহাবীকে এর বাস্তব রূপ ও দৃশ্যও দেখানো হয়। অনন্তর তিনি এই আযানকেই নির্ধারিত করেন এবং শারঈভাবেই এর প্রচলন ঘটান । অতঃপর আযান দানের এই মহান খেদমত হযরত বেলাল ইবন রাবাহ হাবশী (রা)-কে সোপর্দ করা হয়। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মুওয়াযযিন এই উপাধিত ভূষিত এবং কেয়ামত অবধি যত মুওয়াযযিন আসবেন তাঁদের ইমাম হওয়ার অনন্য গৌরব লাভ করেন ।
[তথ্যসূত্র: নবীয়ে রহমত - সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম - সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী - আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত - পৃষ্ঠা নম্বর: 216]