Development Environment for D365 F&O Questions and Answers

Read tutorials from Development Environment for D365 F&O


Question List:



Long Question Share

উত্তর বর্তমানে হওড়া শিবপুরের যে জাতীয় উদ্যান আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন বা শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন নামে পরিচিত, তার আদি নাম ছিল রয়‍্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন। যদিও কোম্পানির বাগান নামেই লোকে উদ্যানটিকে চিনত। মধ্যযুগে ভারত উপমহাদেশে মশলা ও সেই ধরনের বাণিজ্যবস্তুর প্রাচুর্যের আকর্ষণ থাকায় উদ্ভিদবিদ্যা ও উদ্যানবিদ্যায় উৎসাহী বহু মানুষ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী গোষ্ঠীতে স্থান পেয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থাপিত কয়েকটি উদ্যানে বিলাতি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নতুন উদ্ভিদ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই উদ্যানগুলির মধ্যে অন্যতম হল বোটানিক্যাল গার্ডেন। এখানে উদ্ভিদ সম্পর্কিত অনুসন্ধান ও গবেষণা যেমন চলত, তেমনি উদ্যানের কেন্দ্রে ছিল একটি ওষধিশালা। গবেষণা ও পথনির্দেশের জন্য উদ্ভিদের সংগ্রহশালা হিসেবে এটি গড়ে উঠেছিল।
হুগলি নদীর পশ্চিমতীরে হাওড়ার শিবপুরে ভারতের প্রাচীনতম বোটানিক্যাল গার্ডেনটি ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে গড়ে ওঠে। ২৭৩ একর জমির উপর ৩৫ হাজার ফুল ও ফলগাছে সমৃদ্ধ এই উদ্যানে ১৪০০ রকমের নানাধর্মী ভারতীয় গাছ এবং ৬৫ রকমের বিদেশি গাছ রয়েছে। এই উদ্যানে রয়েছে ১.২ হেক্টর জমি জুড়ে থাকা ২৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো বিশ্বের বৃহত্তম বট গাছ। এই উদ্যানের আয়ুর্বেদিক গাছপালা ভারতের চিকিৎসা গবেষণাকে আজও অমূল্য সহায়তা দান করে। গবেষণার সাহায্যার্থে এখানকার গ্রন্থাগারে বহু দুষ্প্রাপ্য বইও রয়েছে।



Long Question Share

উত্তর উইলিয়াম জোনসের উদ্যোগে ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিই ভারতের প্রাচীনতম সংগ্রহশালা ও সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র। সংস্কৃত, বাংলা, পারসি, আরবি, ইংরেজি ইত্যাদি ভাষায় লেখা দেড় লক্ষাধিক দুষ্প্রাপ্য বই ও পুথির সংগ্রহ এখানে রয়েছে। আর, রয়েছে অগণিত মুদ্রা, জার্নাল, পেন্টিং, ষাট হাজারের উপর পান্ডুলিপি, বহু দুষ্প্রাপ্য সংগ্রহ ও আলোকচিত্র। এশিয়াটিক সোসাইটির তত্ত্বাবধানে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ২ নভেম্বর এশিয়াটিক সোসাইটিতে আহূত সম্মেলনে স্থির হয় সোসাইটির দায়িত্বে প্রতি বছর বিজ্ঞান কংগ্রেসের একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প প্রভৃতি নানান শাখার প্রতিনিধিস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিক্ষার বিস্তারে বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে ওই প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।
এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল বিজ্ঞান অধিবেশনের প্রস্তাবে সম্মত হলে সোসাইটির ১ নং পার্ক স্ট্রিটের বাড়িতেই তিনদিনের অধিবেশনে (১৫-১৭ জানুয়ারি, ১৯১৪) বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বোটানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি, দেশবিদেশের শতাধিক বিজ্ঞানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব আজও অপরিসীম। নানান গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ধারার মধ্যে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে এশিয়াটিক সোসাইটিতে আয়োজিত বিজ্ঞান অধিবেশন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল।



Long Question Share

উত্তর শ্রীরামপুর মিশন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চায় বা কারিগরিবিদ্যায় বাঙালির উদ্যোগী হয়ে ওঠার আগে ইউরোপীয় লেখকেরা ঔপনিবেশিক দেশের মানুষকে আধুনিক শিক্ষাদীক্ষায় গড়ে তোলার - কাজে ব্রতী হন। বাংলা ভাষায় শিক্ষার ক্রমবিকাশে ফেলিক্স কেরি, জন ক্লার্ক - মার্শম্যান এবং রেভারেন্ড জন ম্যাকের কথা স্মরণীয়। বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ - বিজ্ঞান গ্রন্থ ব্যবচ্ছেদ বিদ্যা (১৮১৯) ফেলিক্স কেরির রচনা। বইটির বিষয় শারীরবিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিদ্যা। বাংলায় বিদ্যাহারাবলী নামে বিশ্বকোশ প্রকাশের সঙ্গে তাঁর নাম যুক্ত আছে। গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে লেখক কবিরত্ন তর্কশিরোমণির সাহায্য নেন। মার্শম্যান লিখিত বহু গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ∎ জ্যোতিষ ও গোলাধ্যায়। তাঁর সম্পাদিত দিগ্দর্শন ও সমাচার দর্পণ (১৮১৮) ■ পত্রিকায় বিজ্ঞান আলোচনা নিয়মিত প্রকাশিত হত। উইলিয়াম কেরি, পাশ্চাত্য ধারায় যে বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত করেন, মার্শম্যান তাকেই বিস্তৃত করে তোলেন। = তাঁরই প্রচেষ্টায় শ্রীরামপুর কলেজে রসায়নের বীক্ষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। । কিমিয়াবিদ্যার সার তাঁর লেখা বাংলা ভাষায় রসায়নের প্রথম বই। বইটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় লেখা। উইলিয়াম ওয়ার্ডের নেতৃত্বে শ্রীরামপুর চু মিশনের উদ্যোগে আধুনিক মুদ্রণ এবং কাগজ নির্মাণ শিল্পের বনিয়াদ গড়ে ওঠে। ক্রমে এদেশে কাগজের কল তৈরি শুরু হয়। এদেশে যন্ত্র যুগের সূচনায় শ্রীরামপুরের কাগজের কলে বাষ্পের ইঞ্জিনকে উৎপাদনের কাজে লাগানো হয় ও ক্রমে বৃহৎ কাগজ শিল্প গড়ে ওঠে। আর এভাবেই পুথিনির্ভর সাহিত্য ও মৌখিক ধারা ক্রমশ ছাপা বইয়ের বৃহত্তর আত্মপ্রকাশের সামর্থ্য অর্জন করে।