ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে এশিয়াটিক সোসাইটির অবদান কতখানি তা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দাও।
Answer:
উত্তর উইলিয়াম জোনসের উদ্যোগে ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার পার্ক
স্ট্রিটে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিই ভারতের প্রাচীনতম
সংগ্রহশালা ও সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র। সংস্কৃত, বাংলা, পারসি, আরবি, ইংরেজি
ইত্যাদি ভাষায় লেখা দেড় লক্ষাধিক দুষ্প্রাপ্য বই ও পুথির সংগ্রহ এখানে
রয়েছে। আর, রয়েছে অগণিত মুদ্রা, জার্নাল, পেন্টিং, ষাট হাজারের উপর
পান্ডুলিপি, বহু দুষ্প্রাপ্য সংগ্রহ ও আলোকচিত্র। এশিয়াটিক সোসাইটির
তত্ত্বাবধানে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের প্রথম
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ২
নভেম্বর এশিয়াটিক সোসাইটিতে আহূত সম্মেলনে স্থির হয় সোসাইটির
দায়িত্বে প্রতি বছর বিজ্ঞান কংগ্রেসের একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সাহিত্য,
বিজ্ঞান, শিল্প প্রভৃতি নানান শাখার প্রতিনিধিস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ শিক্ষা ও সংস্কৃতির
পীঠস্থান এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিক্ষার বিস্তারে বাংলায় আধুনিক
বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে ওই প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।
এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল বিজ্ঞান অধিবেশনের প্রস্তাবে সম্মত হলে সোসাইটির ১ নং পার্ক স্ট্রিটের বাড়িতেই তিনদিনের অধিবেশনে (১৫-১৭ জানুয়ারি, ১৯১৪) বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বোটানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি, দেশবিদেশের শতাধিক বিজ্ঞানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব আজও অপরিসীম। নানান গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের গবেষণার ধারার মধ্যে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে এশিয়াটিক সোসাইটিতে আয়োজিত বিজ্ঞান অধিবেশন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল।
Related Articles:
This section is dedicated exclusively to Questions & Answers. For an in-depth exploration of ইতিহাস, click the links and dive deeper into this subject.
Join Our telegram group to ask Questions
Click below button to join our groups.