উত্তর : সূর্যোদয়ের পূর্বে যেমনিভাবে সুবহে সাদিকের বিশ্বব্যাপী আলোকছটা ও লাল আভা পৃথিবীকে সূর্যোদয়ের সু-সংবাদ প্রদান করে; তেমনিভাবে নবুওয়্যাতের সূর্যোদয়ের সময় যখন ঘনিয়ে এলো, তখন বিশ্বের দিকে দিকে এমন সব ঘটনাবলী প্রকাশ হতে লাগলো যা মহানবী (সা.) এর শুভাগমনের সু-সংবাদ বহন করছিল। মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণের পরিভাষায় এটাকে (জন্মের পূর্বের এ সকল পূর্বাভাসকে) ইরহাসাত বলা হয় ।
উত্তর : নবী করীম (সা.) এর আম্মাজান হযরত আমিনা (রা.) বর্ণনা করেন, তিনি যখন তাঁর গর্ভে স্থিতি লাভ করেন, তখন স্বপ্নযোগে তাঁকে এ সু-সংবাদ দেয়া হয় যে, তোমার গর্ভের এ সন্তানটি এ উম্মতের সরদার হবেন। তিনি ভূমিষ্ট হলে এ দু'আ করবে : ‘আমি তাঁকে এক আল্লাহর আশ্রয়ে সপে দিচ্ছি' । আর তাঁর নাম রাখবে মুহাম্মাদ। -সীরাতে ইবনে হিশাম ।
তিনি আরো বর্ণনা করেন মুহাম্মাদ (সা.) গর্ভে আসার পর আমি একটি নুর দেখতে পেয়েছিলাম, যার আলোতে বসরা নগরী ও শামের (সিরিয়া) বিভিন্ন প্রাসাদ আমার (চোখের) সামনে এসে গিয়েছিল । -সীরাতে ইবনে হিশাম ।
উত্তর : নবী করীম (সা.) এর আম্মাজান বর্ণনা করেন, আমি মুহাম্মাদ (সা.) অপেক্ষা অধিক হালকা ও সহজ কোন গর্ভ কোন নারীকে ধারণ করতে দেখিনি। অর্থাৎ, গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের সাধারণত: যে বমির ভাব, অবসাদ ইত্যাদি হয়ে থাকে, এসব কিছুই আমার হয়নি। এছাড়াও আরো অনেক ঘটনা প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো সংক্ষিপ্ত এ পুস্তকে উল্লেখ করার অবকাশ রাখে না।