- Aশ্বেত রক্তকণিকা
- Bলোহিত রক্তকণিকা
- Cপ্লেটলেট
- Dকোনটিই না
Answer: (ক) শ্বেত রক্তকণিকা
Explanation: শ্বেত রক্তকণিকা মানুষের রক্তে থাকা একধরনের কোষ যা শরীরকে রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করে। শ্বেত রক্তকণিকা বিভিন্ন ধরনের হয়, যেমন নিউট্রোফিল, লিম্ফোসাইট, মনোসাইট, ইওসিনোফিল এবং বেসোফিল। প্রতিটি ধরনের শ্বেত রক্তকণিকার নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে শরীরকে রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে।
নিউট্রোফিল শ্বেত রক্তকণিকা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রক্তে থাকে। এগুলি শরীরের প্রথম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যখন শরীরে কোনো রোগজীবাণু প্রবেশ করে, তখন নিউট্রোফিল শ্বেত রক্তকণিকাগুলি সেই রোগজীবাণুকে ঘিরে ধরে এবং মেরে ফেলে।
লিম্ফোসাইট শ্বেত রক্তকণিকা দীর্ঘমেয়াদী রোগজীবাণু প্রতিরোধের জন্য দায়ী। এগুলি অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা রোগজীবাণুকে ধ্বংস করে।
মনোসাইট শ্বেত রক্তকণিকা মৃত কোষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলি পরিষ্কার করে। এছাড়াও, এগুলি রোগজীবাণুকে ধ্বংস করতে অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
ইওসিনোফিল শ্বেত রক্তকণিকা পরজীবী সংক্রমণ এবং এলার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
বেসোফিল শ্বেত রক্তকণিকা হিস্টামিন নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে যা এলার্জি এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
শ্বেত রক্তকণিকা মানুষের শরীরকে রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করে এবং সুস্থ রাখে।
Answer: (ক) হ্যাঁ
Explanation: শ্বেত রক্তকণিকাগুলি তাদের আকৃতি পরিবর্তন করে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। উদাহরণস্বরূপ, নিউট্রোফিল শ্বেত রক্তকণিকাগুলি রোগজীবাণুকে ঘিরে ধরতে এবং মেরে ফেলতে তাদের আকৃতি পরিবর্তন করে। লিম্ফোসাইট শ্বেত রক্তকণিকাগুলি সংক্রমণের কেন্দ্রে অ্যান্টিবডি সরবরাহ করার জন্য তাদের আকৃতি পরিবর্তন করে। মনোসাইট শ্বেত রক্তকণিকাগুলি সংক্রমণের কেন্দ্রে পৌঁছাতে তাদের আকৃতি পরিবর্তন করে। ইওসিনোফিল শ্বেত রক্তকণিকাগুলি পরজীবী এবং অ্যালার্জেনগুলিকে ঘিরে ধরতে এবং মেরে ফেলতে তাদের আকৃতি পরিবর্তন করে। বেসোফিল শ্বেত রক্তকণিকাগুলি সংক্রমণের কেন্দ্রে হিস্টামিন সরবরাহ করার জন্য তাদের আকৃতি পরিবর্তন করে।
Answer: (ক) গোলাকার, দু-পাশ চ্যাপ্টা, চাকতির মতো।
Explanation: লোহিত রক্তকণিকাগুলি মানুষের রক্তের সবচেয়ে সাধারণ ধরনের কোষ। এগুলি ক্ষুদ্র, গোলাকার কোষ যা অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বহন করে। লোহিত রক্তকণিকাগুলির আকৃতি ডিস্কের মতো, যার উভয় পিঠই অগভীর বাটির মতো বাঁক। এই আকৃতিটি লোহিত রক্তকণিকাগুলিকে রক্তবাহী নালীগুলিতে দ্রুত এবং সহজে প্রবাহিত করতে সাহায্য করে।
লোহিত রক্তকণিকাগুলিতে কোনও নিউক্লিয়াস থাকে না, যার অর্থ হল যে এগুলিকে কোনও নতুন কোষ তৈরি করতে পারে না। তবে, লোহিত রক্তকণিকাগুলির মধ্যে একটি প্রোটিন থাকে যা হিমোগ্লোবিন নামে পরিচিত। হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন বহন করে ফুসফুস থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে। লোহিত রক্তকণিকার আকৃতি এবং হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতি এগুলিকে অক্সিজেন বহনে অত্যন্ত কার্যকর করে তোলে।
লোহিত রক্তকণিকা গোলাকার; দু-পাশ চ্যাপটা, চাকতির মতো। বিভিন্ন ব্যাসের রক্তনালীর মধ্য দিয়ে যাতায়াতের জন্য আর বেশি পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহন করার জন্য এদের এধরনের আকার হয়।
Answer: (ক) দু-প্রান্ত ছুঁচালো, মাঝখানটা চওড়া
Explanation: পেশিকোশগুলি লম্বা, সুতাধারার মতো কোষ যা শরীরের বিভিন্ন অংশে গতি সৃষ্টি করে। পেশিকোশগুলির আকৃতি দু-প্রান্ত ছুঁচালো এবং মাঝখানটা চওড়া। এই আকৃতিটি পেশিকোশগুলিকে শক্তভাবে সংযুক্ত হতে এবং সঙ্কুচিত হওয়ার সময় শক্তি সরবরাহ করে।
পেশিকোশগুলি মাইক্রোফিব্রিল নামক ছোট ছোট সুতা দিয়ে তৈরি। এই মাইক্রোফিব্রিলগুলি সঙ্কুচিত হয়ে পেশিকোশগুলিকে ছোট করে তোলে। পেশিকোশগুলি যখন শিথিল হয়, তখন মাইক্রোফিব্রিলগুলি দীর্ঘ হয় এবং পেশিকোশগুলি বড় হয়।
পেশিকোশগুলির মধ্যে অ্যাকটিন এবং মায়োসিন নামক দুটি প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিনগুলি মিলে মাইক্রোফিব্রিল তৈরি করে। অ্যাকটিন এবং মায়োসিনের মধ্যেকার মিথষ্ক্রিয়া পেশিকোশগুলিকে শক্তভাবে সংযুক্ত হতে এবং সঙ্কুচিত হওয়ার সময় শক্তি সরবরাহ করে।
পেশিকোশের দু -প্রান্ত ছুঁচালো, মাঝখানটা চওড়া, সংকোচন-প্রসারণের জন্য এদের আকার এরকম হয়। পেশিকোশের সংকোচন-প্রসারণের জন্য মানুষের স্থান পরিবর্তন, খাদ্যনালীর মধ্য দিয়ে খাদ্যের স্থানান্তরণ, শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে বায়ুর পরিবহন, রক্তনালির মধ্য দিয়ে রক্তের সংবহন ইত্যাদি কার্য সম্পন্ন হয়।
Answer: (ক) স্নায়ুকোশ দৈর্ঘ্যে অনেক বেশি হয়।
অন্যান্য কোশের তুলনায় স্নায়ুকোশ দৈর্ঘ্যে অনেক বেশি হয়। আর এর মূল কোশদেহ তারার মতো বা গোলাকার ও তার সঙ্গে নানা আকৃতির শাখা-প্রশাখা যুক্ত থাকে। এরা পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে (আলোক শব্দ, গন্ধ, স্বাদ, চাপ, ব্যথা ও তাপ ইত্যাদি) ও তাকে পরিবহন করে। এভাবে জীবদেহের বাইরের ও ভেতরের পরিবেশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
Explanation: স্নায়ুকোশ মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ। স্নায়ুকোশের দৈর্ঘ্য কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক মিটার পর্যন্ত হতে পারে। স্নায়ুকোশগুলির এই দীর্ঘ দৈর্ঘ্য শরীরের বিভিন্ন অংশের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।
অন্যান্য কোশের তুলনায় স্নায়ুকোশের আরেকটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হল যে স্নায়ুকোশ বিভক্ত হতে পারে না। অর্থাত, কোনো স্নায়ুকোশ মারা গেলে তা আর ফিরে আসে না। তাই স্নায়ুকোশের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্নায়ুকোশগুলি অন্য কোশের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সিনাপস নামক বিশেষ সংযোগ ব্যবহার করে। সিনাপসের মাধ্যমে স্নায়ুকোশগুলি তথ্য আদান-প্রদান করে। এই তথ্য আদান-প্রদান শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
Answer: বহুভুজাকার কোষ
Explanation: বহুভুজাকার কোষগুলি উদ্ভিদের মূল বা কাণ্ডের অগ্রভাগে থাকে এবং ক্রমাগত বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ তৈরি করে। এই কোষগুলিকে মেরিস্টেম্যাটিক কোষ বলা হয়। মেরিস্টেম্যাটিক কোষগুলি উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বহুভুজাকার কোষগুলির মূল বৈশিষ্ট্য হল যে এগুলির আকৃতি বহুভুজের মতো। এগুলির সাইটোপ্লাজম প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং এতে অনেকগুলি রাইবোসোম থাকে। এসব রাইবোসোম প্রোটিন সংশ্লেষণ করে, যা নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
মেরিস্টেম্যাটিক কোষগুলি দুই প্রকারের হয়: প্রাথমিক মেরিস্টেম্যাটিক কোষ এবং দ্বিতীয়িক মেরিস্টেম্যাটিক কোষ। প্রাথমিক মেরিস্টেম্যাটিক কোষগুলি উদ্ভিদের বীজে অবস্থিত এবং উদ্ভিদের দৈর্ঘ্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে। দ্বিতীয়িক মেরিস্টেম্যাটিক কোষগুলি উদ্ভিদের মূল ও কাণ্ডের পুরুত্ববৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে।
মূল বা কাণ্ডের অগ্রভাগে যে কোশগুলো থাকে তারা ক্রমাগত বিভাজিত হয় ৷ এ ধরনের কোশগুলো বহুভুজাকার । আবার কাণ্ডের ভেতরে মূল থেকে পাতা পর্যন্ত জলের ঊর্ধ্বমুখী সংবহনের সঙ্গে যে কোশগুলো যুক্ত তারা আবার নলাকার ।
Answer: (ক) নলাকার
Explanation: কাণ্ডের ভেতরে মূল থেকে পাতা পর্যন্ত জলের ঊর্ধ্বমুখী সংবহনের সঙ্গে যে কোশগুলো যুক্ত তারা নলাকার। এই কোশগুলিকে জাইলেম কোষ বলা হয়। জাইলেম কোষগুলি মৃত কোষ এবং এগুলির কোনও সাইটোপ্লাজম বা নিউক্লিয়াস থাকে না। জাইলেম কোষগুলির দেয়ালগুলি পুরু এবং উল্লসিত হয়, যা এগুলিকে শক্তিশালী করে তোলে।
জাইলেম কোষগুলির সুতাধারার মতো আকৃতি জলকে দ্রুত ও সহজে উপরে তুলতে সাহায্য করে। জাইলেম কোষগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে মূল থেকে পাতা পর্যন্ত একটি জালিকা তৈরি করে। এই জালিকা দিয়ে জল মূল থেকে পাতায় উঠে আসে।
জাইলেম কোষগুলির মধ্যে জল উঠে আসার প্রক্রিয়াকে ঊর্ধ্বমুখী সংবহন বলা হয়। ঊর্ধ্বমুখী সংবহনের জন্য মূলের মূলরোমগুলি মাটি থেকে জল শোষণ করে। জল শোষণের পরে, মূলের কোষগুলি জলকে জাইলেম কোষগুলিতে স্থানান্তর করে। জাইলেম কোষগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকায়, জল ক্রমাগত উপরে তুলতে পারে।
জল মূল থেকে পাতায় উঠে আসার পরে, পাতার রন্ধ্রগুলি দিয়ে বাষ্প হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়। এই প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলা হয়। বাষ্পীভবন উদ্ভিদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং উদ্ভিদকে জল পরিবহণ করতে সাহায্য করে।
Answer: (ক) স্নায়ুকোষ
Explanation: স্নায়ুকোষ মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ। স্নায়ুকোশের দৈর্ঘ্য কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক মিটার পর্যন্ত হতে পারে। স্নায়ুকোশগুলির এই দীর্ঘ দৈর্ঘ্য শরীরের বিভিন্ন অংশের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।
স্নায়ুকোশগুলি দীর্ঘ হওয়ার কারণ হল যে এগুলি অন্য কোষের সাথে সংযোগ তৈরি করে যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত। এই সংযোগগুলিকে সিনাপস বলা হয়। সিনাপসের মাধ্যমে স্নায়ুকোশগুলি তথ্য আদান-প্রদান করে। এই তথ্য আদান-প্রদান শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
স্নায়ুকোশগুলির দীর্ঘ দৈর্ঘ্য এগুলিকে শরীরের বিভিন্ন অংশের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি আপনার আঙুলকে আগুনে পোড়েন, তখন স্নায়ুকোশগুলি আপনার মস্তিষ্কে দ্রুত একটি বার্তা পাঠায় যে আপনার আঙুল পুড়েছে। এই বার্তা পাওয়ার পরে, আপনার মস্তিষ্ক আপনার আঙুলটি আগুন থেকে দূরে সরিয়ে আনতে আপনার পেশিকোষগুলিকে নির্দেশ দেয়।
Answer: (ক) উটপাখির অনিষিক্ত ডিম
Explanation: উটপাখির অনিষিক্ত ডিম হলো বৃহত্তম একক কোশ। এটির ব্যাস প্রায় 15 সেন্টিমিটার এবং এর ওজন প্রায় 1.5 কিলোগ্রাম। উটপাখির ডিমের অনুপস্থিতির কারণে এটি একটি কোষ হিসাবে বিবেচিত হয়।
মানুষের মস্তিষ্কটি প্রায় 100 বিলিয়ন স্নায়ুকোষ নিয়ে গঠিত। নীল তিমির হৃদপিণ্ডটি প্রায় 1 টন ওজনের এবং এর আয়তন প্রায় 10 ঘনফুট। আফ্রিকান গুল্মগাধার গলাটি প্রায় 12 ফুট লম্বা।
Answer: (ক) মাইক্রোমিটার বা মাইক্রন
Explanation: কোশের আকার সাধারণত মাইক্রোমিটার বা মাইক্রনে মাপা হয়। একটি মাইক্রোমিটার বা মাইক্রন হলো এক মিটারের এক মিলিয়ন ভাগের এক ভাগ। অধিকাংশ কোষের আকার কয়েক মাইক্রোমিটার থেকে কয়েকশ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়। তবে, কিছু কোষ, যেমন উটপাখির ডিম, অনেক বড়। উটপাখির ডিমের ব্যাস প্রায় 15 সেন্টিমিটার এবং এর ওজন প্রায় 1.5 কিলোগ্রাম।
কোশের আকার সাধারণত মাইক্রোমিটার বা মাইক্রন দিয়ে মাপা হয়। 1 মাইক্রোমিটার 1 মিটারের 10 লক্ষ ভাগের 1 ভাগ। 1 মিটার = 1000 মিলিমিটার, 1 মিলিমিটার = 1000 মাইক্রোমিটার, 1 মাইক্রোমিটার(um) = 1000 ন্যানোমিটার এবং 1 ন্যানোমিটার(nm) = 10 অ্যাংস্ট্রম (Å)। এ হিসাবে কোনো বাক্যের শেষে যে যতিচিহ্ন (Full Stop) আমরা ব্যবহার করি তাতে 1 মাইক্রন মাপের 400 টি কোশ এঁটে যায়। অধিকাংশ কোশের আকার 5-10 মাইক্রন।
মিলিমিটার, সেন্টিমিটার এবং মিটার হলো বৃহত্তর একক যা সাধারণত কোষের আকার পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয় না।