- A৫০ হাজার
- B৭০ হাজার
- C১ লক্ষ
- Dঅসংখ্য
৮ জন
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা আরশকে বহন করে এবং যারা এর চারপাশে রয়েছে, তারা তাদের রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করে এবং তাঁর প্রতি ঈমান রাখে (সূরা মুমিন : ৭)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘সেদিন তোমার রবের আরশকে আটজন ফেরেশতা তাদের উপর বহন করবে’ (সূরা আল-হাক্কাহ : ১৭)। ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ), ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) সহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে, বর্তমানে আল্লাহর আরশ বহনকারী ফেরেশতার সংখ্যা ৪ জন। আর ক্বিয়ামতের দিন তাদের সংখ্যা হবে ৮ জন’ (তাফসীরে ইবনু কাছীর, ৭ম খণ্ড, পৃ. ১৩০)।
তাদের আকৃতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের একজনের শারীরিক গঠন বর্ণনা করতে আমাকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তার কানের লতি হতে কাঁধ পর্যন্ত স্থানের দূরত্ব হল সাতশ’ বছরের দূরত্বের সমান’ (আবূ দাউদ, হা/৪৭২৭, সনদ ছহীহ)।
আল্লাহ তা-আলা মুসলমানদের সাহায্যের জন্য ফেরেশতা প্রেরণ করেন এবং তাঁরা মুশরিকদেরকে তছনছ করে ছাড়েন। আল্লাহ তা'আলা বলেন : “আর স্মরণ কর, যখন তোমার প্রভু-প্রতিপালক নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদেরকে যে, আমি সাথে আছি তোমাদের। সুতরাং তোমরা মুসলমানদের অবিচলিত রাখ; আমি কাফিরদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করে দেব। সুতরাং তাদের গর্দানের ওপর আঘাত হান এবং আঘাত হান তাদের সর্বাঙ্গে” (সূরা আনফাল, ১২ আয়াত)।
শেষাবধি আল্লাহ তা'আলার মদদ দেখা দিল। কাফির মুশরিকদের ফৌজ ও ইসলাম দুশমনদের বাহিনীর ওপর শীতের রাতে এমন প্রবল শৈত্যপ্রবাহ শুরু হল যে, তাদের তাঁবুগুলো উপড়ে গেল, ডেকচিগুলো উল্টে গেল। এতদুদ্দেশ্যে আবৃ সুফিয়ান বললেন : কুরায়শগণ! এখন আর এখানে অবস্থান করার মত নেই। আমাদের খচ্চর ও ঘোড়াগুলো শেষ হয়ে গেছে। বনূ কুরায়জা আমাদের সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছে এবং খুবই ভয়ংকর ও কষ্টদায়ক খবর আমরা তাদের সম্পর্কে পেয়েছি । এই প্রবল শৈত্যপ্রবাহ যে কেয়ামত সৃষ্টি করেছে তাও তোমরা দেখতে পাচ্ছি। ডেকচি পর্যন্ত চুলার ওপর টিকছে না। আগুন জ্বালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমাদের কোন অবস্থান ও আশ্রয়স্থলই নিরাপদ ও অক্ষত নেই। এখন এখান থেকে বেরিয়ে পড়। আমি ফিরে যাবার ইচ্ছা করেছি। এই বলে আবু সুফিয়ান তার বাঁধা উটের নিকট গেলেন, তার পিঠে চড়ে বসলেন, পাশে গুঁতা মারলেন। অতঃপর উট খাড়া হতেই তিনি এর রশি খুলে দিলেন।
গাতাফান এই খবর পেতেই যে, কুরায়শরা স্বদেশের পথে রওয়ানা হয়ে গেছে, নিজেরাও যে যার বাড়িঘরের পথ ধরল। রাসূলুল্লাহ (সা) সে সময় নামায পড়ছিলেন । হুযায়ফা ইবনুল-য়ামান (রা) (যাঁকে তিনি সম্মিলিত বাহিনীর ভেতর গোয়েন্দাগিরির দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছিলেন যাতে তিনি রাসূল (সা)-কে তাদের গতিবিধি সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন] এ সময় প্রত্যাবর্তন করেন । তিনি যা কিছু দেখেছিলেন সে সম্পর্কে রাসূল আকরাম (সা)-কে অবহিত করেন।
[তথ্যসূত্র: নবীয়ে রহমত - সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম - সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী - আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত - পৃষ্ঠা নম্বর: 274-75]
বাইতুল মা'মূরে প্রতিদিন ৭০ হাজার ফেরেশতা এবাদতের জন্য প্রবেশ করে আর একবার যে প্রবেশ করে কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সে দ্বিতীয়বার প্রবেশের অনুমতি ও সুযোগ পায় না।
[তথ্যসূত্র: আর-রাহীকুল মাখতূম বা মোহরাঙ্কিত জান্নাতী সুধা - শাইখুল হাদীস আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ.) -অনুবাদ - আব্দুল খালেক রহমানী, মুয়ীনুদ্দীন আহমাদ - পৃষ্ঠা নম্বর: ]
মালিক।
[তথ্যসূত্র: আর-রাহীকুল মাখতূম বা মোহরাঙ্কিত জান্নাতী সুধা - শাইখুল হাদীস আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ.) -অনুবাদ - আব্দুল খালেক রহমানী, মুয়ীনুদ্দীন আহমাদ - পৃষ্ঠা নম্বর: ]