- Aআন্ত কেন্দ্রিকতা
- Bসর্বপ্রাণবাদ
- Cধারণা সংরক্ষণ
- Dলক্ষ্যমূখী আচরণ
শিশুর ছোট সাফল্য উদযাপন করা তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। যখন একটি শিশু তার সাফল্যের জন্য প্রশংসা পায়, এটি তার আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। এটি তাকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে উৎসাহিত করে। অন্যদিকে, সমালোচনা, তুলনা বা অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ শিশুর আত্মবিশ্বাসকে নষ্ট করতে পারে।
শিশুর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য তার সাফল্য ও ভুলের মধ্যে ব্যালান্স রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে শেখানো উচিত যে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি ভুলও স্বাভাবিক, এবং ভুল থেকে শিখতে হবে। এই ব্যালান্স শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং তাকে আরও সমৃদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
একটি শিশুর সুস্থ মানসিকতা এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য তাকে এমন একটি পরিবেশে বেড়ে উঠতে দেয়া প্রয়োজন যেখানে ভালোবাসা, সহযোগিতা এবং শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক থাকে। একটি সহযোগিতামূলক পরিবেশে শিশু তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে কাজ করতে শেখে এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতির অনুভূতি গড়ে তোলে। এটি হিংসার অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। কঠোর বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিবেশ শিশুর মধ্যে হিংসা বা বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে, যা তার সামাজিক দক্ষতা এবং সম্পর্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। একে অপরকে সহায়ক হতে শেখানো শিশুর বিকাশের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
বাবা-মা যদি তাদের আচরণে ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এবং শিশুকে ভাল আচরণে উৎসাহিত করেন, তবে শিশুর মধ্যে হিংসা কমানোর ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত কার্যকর। শিশুরা তাদের মা-বাবার আচরণ অনুসরণ করে, তাই যদি বাবা-মা শান্তিপূর্ণ এবং সহানুভূতিশীল আচরণ করেন, তবে শিশুও সেই আচরণ অনুসরণ করবে। শিশুকে ভালো আচরণে উৎসাহিত করার মাধ্যমে হিংসা মুক্ত এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব।