রোযাদার কি মেসওয়াক করতে পারে?
Answer:
উত্তরঃ রোযাদারের মেসওয়াক করা সুন্নাত ।
উত্তর: বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে দিনের প্রথম ভাগে যেমন শেষ ভাগেও তেমন মেসওয়াক করা সুন্নাত। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ ومَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ»
“মিসওয়াক হচ্ছে মুখের পবিত্রতা ও প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম।”[1] তিনি আরো বলেন,
«لَوْلا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي أَوْ عَلَى النَّاسِ لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلاةٍ »
“আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করলে আমি প্রত্যেক সালাতের সময় তাদেরকে মেসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।”[2] অনুরূপভাবে আতর-সুগন্ধি ব্যবহার করাও সাওম আদায়কারীর জন্য জায়েয। চাই তা দিনের প্রথম ভাগে হোক বা শেষ ভাগে। চাই উক্ত সুগন্ধি ভাপ হোক বা তৈল জাতীয় বা সেন্ট প্রভৃতি হোক। তবে ভাপের সুগন্ধি নাকে টেনে নেওয়া জায়েয নয়। কেননা ধোঁয়ার মধ্যে প্রত্যক্ষ ও অনুভবযোগ্য কিছু অংশ আছে যা নাক দ্বারা গ্রহণ করলে নাকের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে পেটে পৌঁছায়।[3] এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাক্বীত ইবন সাবুরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলেছেন, بَالِغْ فِي الاسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا “সিয়াম অবস্থায় না থাকলে অযুর ক্ষেত্রে নাকে অতিরিক্ত পানি নিবে।”[4]
[2] সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: সিয়ামদারের কাঁচা ও শুকনা মিসওয়াক ব্যবহার করা; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: পবিত্রতা, অনুচ্ছেদ: মিসওয়াক করা।
[3] ধুমপানের ক্ষেত্রে যেহেতু ধুঁয়াটাই নাকের মধ্যে দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে এজন্য তা দ্বারা সিয়াম ভঙ্গ হবে। অবশ্য ধুমপান মূলতঃ হারাম কাজ। যা থেকে বেঁচে থাকা মুসলিম তো অবশ্যই প্রত্যেক মানুষের জন্য অপরিহার্য।
[4] আবু দাঊদ, অধ্যায়: নাক ঝাড়া, ১৪২। তিরমিযী, অধ্যায়: পবিত্রতা, অনুচ্ছেদ: আঙ্গুল খিলাল করার বর্ণনা।
Related Articles:
This section is dedicated exclusively to Questions & Answers. For an in-depth exploration of প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান, click the links and dive deeper into this subject.
Join Our telegram group to ask Questions
Click below button to join our groups.