ইনপুট ডিভাইস
Table of Content:
আমরা সবাই কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের ইনপুট ডিভাইস সম্পর্কে জানি। কিন্তু এগুলা আসলে কী এবং এগুলো কত প্রকার সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আজকের পোষ্টে মাধ্যমে আমি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করি…
• ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে?
আমরা আমাদের কম্পিউটারকে যেই ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিতে পারি, সেই ডিভাইসগুলোকে ইনপুট ডিভাইস বলে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কম্পিউটার কিবোর্ড এবং মাউস। এই দুইটা ডিভাইস দিয়ে আমরা কম্পিউটারকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিয়ে থাকি, এবং সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কম্পিউটার আমাদের সামনে রেজাল্ট শো করে।
কম্পিউটারের কিছু ইনপুট ডিভাইস:
১. কিবোর্ড
২. মাউস
৩. জয়-স্টিকস
৪. স্ক্যানার
৫. মাইক্রোফোন (ইত্যাদি)
• ইনপুট ডিভাইস এর প্রকারভেদ:
ইনপুট ডিভাইস অনেক প্রকারের হয়, তবে নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস এর উদাহরণ দেওয়া হলো:
১. কিবোর্ড: কিবোর্ড কম্পিউটারের সবচেয়ে জরুরি একটি ইনপুট ডিভাইস। আমরা কিবোর্ড এর মাধ্যমে কম্পিউটারকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড দিয়ে থাকি। কিবোর্ড এর মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারে লেখা লিখি, ডকুমেন্ট সাবমিশন এবং বিভিন্ন ধরনের ডাটা ট্রান্সফারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকি।
২. মাউস: কম্পিউটারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস হলো কম্পিউটারের মাউস। আমরা কম্পিউটারের মাউস ব্যবহার করে কম্পিউটারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ শর্টকাটে করতে পারি। এছাড়া যারা graphic-designer তাদের জন্য মাউস অত্যাবশ্যকীয় একটি ইনপুট ডিভাইস। তবে ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট এর মধ্যে মাউসের কাজ টাচপ্যাড দিয়ে করা যায়।
৩. জয়-স্টিক: জয়স্টিক হলো কম্পিউটারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস। বিশেষ করে যারা সিমুলেশন বা গেমিং নিয়ে কাজ করে, তাদের জন্য জয়স্টিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্রশিক্ষণকেন্দ্রে জয়স্টিকের ব্যবহার অনেক বেশি হয়।
৪. লাইট পেন: কম্পিউটারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস হলো লাইট পেন। এটা অনেকটা কলমের মতো হওয়ায়, আমরা এটা দিয়ে কম্পিউটার স্ক্রিনে সরাসরি লিখতে পারি। তবে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারের মনিটর এবং হার্ডওয়ারে এই ফিচারটি থাকতে হবে। তা না হলে আপনি লাইট পেন ব্যবহার করতে পারবেন না। বিভিন্ন ডিজিটাল পেইন্টাররা এই ধরনের পেন ব্যবহার করে ছবি আঁকে।
৫. স্ক্যানার: স্ক্যানার এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কারণ আমরা প্রায় সবাই কোন না কোন কাজের জন্য বিভিন্ন কাগজ প্রিন্ট করি, এটি কিন্তু ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস। তবে কিছু কিছু প্রিন্টার এর মধ্যে স্ক্যানার থাকে না, সেইগুলো কিন্তু ইনপুট ডিভাইস নয়। স্ক্যানার ব্যবহার করে আমরা যেকোন ডকুমেন্টকে স্ক্যান করে সেটা কম্পিউটারে সেভ করতে পারি। যাতে ভবিষ্যতে আমাদের এই ফাইলটি আমরা ব্যবহার করতে পারি।
৬. মাইক্রোফোন: আমরা যদি কম্পিউটারের মাধ্যমে কোন ভয়েস রেকর্ড, ভিডিও কলিং এর মত ফিচারগুলো ব্যবহার করতে চাই, তাহলে অবশ্যই মাইক্রোফোন এর প্রয়োজন হবে। আর মাইক্রোফোন হলো একটি ইনপুট ডিভাইস। মাইক্রোফোন ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটারের মধ্যে ভয়েস ইনপুট করতে পারি।
বন্ধুরা আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই। আশা করি আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আপনারা কিছু শিখতে পেরেছেন।