শিশুর নামকরণ
Table of Content:
শিশুর নামকরণ
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম হ’ল ‘আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান’।[1]
অমুসলিমদের সাথে সামঞ্জস্যশীল ও শিরক-বিদ‘আতযুক্ত নাম বা ডাকনাম রাখা যাবে না। তাছাড়া অনারবদের জন্য আরবী ভাষায় নাম রাখা আবশ্যক। কেননা অনারব দেশে এটাই মুসলিম ও অমুসলিমের নামের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে। আজকাল এ পার্থক্য ঘুচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। তাই নাম রাখার আগে অবশ্যই সচেতন ও যোগ্য আলেমের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।
উল্লেখ্য যে, শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পরপরই নাম রাখা যায়। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদিন ফজরের পরে সবাইকে বলেন, গত রাতে আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করেছে। আমি তাকে আমার পিতার নামানুসারে ‘ইব্রাহীম’ নাম রেখেছি’।[2] এভাবে তিনি আবু ত্বালহার পুত্র আব্দুল্লাহ ও আসওয়াদপুত্র মুনযির-এর নাম তাদের জন্মের পরেই রেখেছিলেন’।[3] তবে আক্বীক্বা সপ্তম দিনেই হবে।
[1]. মুসলিম হা/২১৩২; মিশকাত হা/৪৭৫২ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায় ‘নামসমূহ’ অনুচ্ছেদ; ইরওয়া হা/১১৭৬, ৪/৪০৬ পৃ.।
[2]. মুসলিম হা/২৩১৫ ‘ফাযায়েল’ অধ্যায়; আবুদাঊদ হা/৩১২৬।
[3]. মুগনী ১১/১২৫ পৃ.; আওনুল মা‘বূদ হা/২৮২১-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য; বুখারী হা/৬১৯১; মুসলিম হা/২১৪৯; মিশকাত হা/৪৭৫৯ ‘নামসমূহ’ অনুচ্ছেদ।