বৌদ্ধধর্ম
Table of Content:
বৌদ্ধধর্ম হল গৌতম বুদ্ধের উপদেশ ও দর্শনের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একটি ধর্ম ও জীবনদর্শন। এটি খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ শতকে ভারতে উদ্ভূত হয় এবং পরে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তার লাভ করে।
মূল উপাদানসমূহ
✅ চার আর্য সত্য (চারটি মহাসত্য):
- দুঃখ – জীবন কষ্টকর ও দুঃখময়।
- দুঃখের কারণ – তৃষ্ণা (আকাঙ্ক্ষা) ও আসক্তি।
- দুঃখ নিরোধ – তৃষ্ণার বিনাশেই দুঃখের অবসান।
- অষ্টাঙ্গিক মার্গ – মুক্তির পথ।
✅ অষ্টাঙ্গিক মার্গ (আটটি সঠিক পথ):
- সম্যক দৃষ্টি (সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি)
- সম্যক সংকল্প (সঠিক ইচ্ছা)
- সম্যক বাক্য (সত্য ভাষণ)
- সম্যক কর্ম (সত্ কাজ)
- সম্যক জীবিকা (ন্যায়সঙ্গত জীবিকা)
- সম্যক প্রচেষ্টা (সঠিক প্রচেষ্টা)
- সম্যক স্মৃতি (সতর্কতা ও সচেতনতা)
- সম্যক সমাধি (ধ্যান ও একাগ্রতা)
প্রধান শাখাসমূহ
🔹 থেরবাদ – প্রাচীনতম এবং কঠোর শৃঙ্খলাবদ্ধ ধারা (শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড)।
🔹 মহাযান – সহানুভূতি ও বোধিসত্ত্ব আদর্শের উপর ভিত্তি করে (চীন, জাপান, কোরিয়া)।
🔹 বজ্রযান – তন্ত্র, মন্ত্র ও যোগের ওপর গুরুত্ব দেয় (তিব্বত, ভুটান, মঙ্গোলিয়া)।
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ
📜 ত্রিপিটক – তিনটি ভাগে বিভক্ত:
- বিনয় পিটক – সন্ন্যাসীদের নিয়মাবলি।
- সূত্র পিটক – বুদ্ধের উপদেশ ও শিক্ষা।
- অভিধর্ম পিটক – দর্শন ও মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ।
বিশ্বজুড়ে বৌদ্ধধর্ম
বৌদ্ধধর্ম বর্তমানে শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, জাপান, চীন, কোরিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে অনুসৃত হয়।
আপনি যদি বৌদ্ধধর্মের নির্দিষ্ট কোনো দিক সম্পর্কে জানতে চান, জানাবেন! 😊